মান্নাফের গোলে জয় শেখ রাসেলের

দলকে জেতালেন মান্নাফছবি: প্রথম আলো

স্বাধীনতা কাপ দিয়ে আজ শুরু হয়েছে নতুন ফুটবল মৌসুম। কমলাপুর শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উত্তর বারিধারাকে ১–০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ম্যাচ জেতানো গোলটি করেছেন মান্নাফ রাব্বি।

খাতা–কলমে এবার শক্তিশালী দল গড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দুই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড থিয়াগো আমারাল ও এইলটন মাচাদোর সঙ্গে গিনি বিসাউ ও পর্তুগালের যৌথ নাগরিকত্ব থাকা ফরোয়ার্ড ইসমাইল গনসালভেজকে (ইসমা) নিয়েছে ২০১২–১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ীরা। এশিয়ান কোটায় কিরগিজস্তান জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আয়জার আকমাতভ।

অবশেষে গোল পাওয়ার স্বস্তি মান্নাফের
ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয়দের মধ্যে আবাহনী থেকে ফরোয়ার্ড সাদউদ্দিন, সাইফ স্পোর্টিং থেকে লেফটব্যাক রহমত মিয়া, চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে মিডফিল্ডার মানিক হোসেন।
মৌসুমটা কেমন শুরু করে এ দল, তা দেখার অপেক্ষা ছিল। উত্তর বারিধারার মতো তুলনামূলক দুর্বল দল পেয়েও প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছে দলটি।

যদিও কমলাপুর স্টেডিয়ামের বাজে টার্ফে দলের শক্তিমত্তা বিচার করা কঠিন। তবু তিন বিদেশি খেলোয়াড়বিহীন বারিধারার বিপক্ষে যেভাবে গোল মিস করে কষ্ট করে জিতল শেখ রাসেল, দলটির সমর্থকদের শঙ্কিত হওয়ারই কথা। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন মোহাম্মদ জুয়েল ও মান্নাফ রাব্বি। গোলমুখ থেকে হেডে বল পোস্টে রাখতে পারেননি এইলটন মাচাদো। অবশ্য তাঁদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বারিধারা গোলকিপার সাইফুল ইসলামও।

ইসমা আক্রমোণের প্রাণ হয়েছিলেন
ছবি: প্রথম আলো

চোটের কারণে আমারাল ছিলেন না। প্রথমার্ধে ৪–২–৩–১ ফরমেশনে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব–১৭ দলের হয়ে ৩ ম্যাচ খেলা ইসমাকে মূল স্ট্রাইকারের দায়িত্ব দিয়ে ব্রাজিলিয়ান মাচাডোকে দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে খেলিয়েছেন শেখ রাসেল কোচ সাইফুল বারি। বারিধারার তিন সেন্টারব্যাকের ভিড়ে তাঁরা নিজেদের চেনাতে পেরেছেন, কিন্তু দলের জন্য বাড়তি কিছু করতে পারেননি। ১৪ মিনিটে সাদ উদ্দিনের ফ্রি কিক থেকেও গোলমুখ থেকে হেড করে বল পোস্টে রাখতে পারেননি মাচাদো। ম্যাচের শেষের দিকেও দৃষ্টিকটুভাবে গোল হাতছাড়া করেছেন।

তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে রক্ষণচেরা পাসে মান্নাফকে চামচে তুলে দেওয়ার মতো বল মুখের সামনে তুলে দিয়েছিলেন মাচাদো। গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাজের কাজটা করতে পারেননি মান্নাফ। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বলের লাইনে এসে জায়গা ছোট করে দিয়ে মান্নাফের কাজটা কঠিন করে দিয়েছেন গোলকিপার সাইফুল।

হেমন্তের সঙ্গে ইসমার রসায়নে এসেছে গোল
ছবি: প্রথম আলো

এর আগে ৩৩ মিনিটে তাঁর পাসে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন জুয়েল। ডান প্রান্ত থেকে মান্নাফের ক্রস থেকে অরক্ষিত জুয়েল ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল। ঠিকঠাক পা-ই লাগাতে পারলেন না এই বছর জাতীয় দলে অভিষিক্ত হওয়া জুয়েল।

গোল মিসের মহড়া দিয়েই প্রথমার্ধ শেষ। দ্বিতীয়ার্ধে ইসমা ও মাচাদো জোড়া বেঁধে ৪–৪–২ ফরমেশন করে রাসেল। এতে প্রতিপক্ষের ওপর তাদের চাপ বেড়ে যায়। ৫৮ মিনিটে মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট ও ইসমার রসায়নে গোলের তালা খুললেন মান্নাফ। মাঝমাঠ থেকে হেমন্তর বাতাসে রক্ষণচেরা থ্রু থেকে বক্সের বাইরে থেকে প্রথম স্পর্শে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তুলে দিয়েছিলেন ইসমা। শেষ মুহূর্তে গোললাইনে জটলা থেকে টোকা দিয়ে গোল করেন মান্নাফ।

পরের মিনিটেই মান্নাফের একটি ভালো হেড দুর্দান্ত সেভ দিয়েছেন বারিধারা গোলরক্ষক। শেষের দিকে আরও গোলের সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি শেখ রাসেল। অবশ্য শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারাটাই তাদের জন্য স্বস্তির।