মাঠে মূত্রত্যাগ করে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ আইরিশ ফুটবলার
কত কারণেই তো নিষিদ্ধ হতে পারেন ফুটবলাররা!
সাধারণত আপনার মাথায় আসতে পারে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মারামারি বা রেফারিকে গালিগালাজ করা। এক ধাপ এগিয়ে কেউ অনৈতিক কাজের কথাও ভাবতে পারেন। তবে মূত্র ত্যাগ করার জন্য যে কেউ নিষিদ্ধ হতে পারেন, সেটি কারও মাথাতেই আসবে না। কিন্তু সেই খেলোয়াড় যদি খেলার মাঠেই প্রকৃতির এ কাজটি সেরে ফেলেন, তাহলে তো সেটি অপরাধের পর্যায়েই পড়ে।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে। সেখানে নর্দান আয়ারল্যান্ড কাপে কোলেরাইন ও বাল্লিমেনার ম্যাচে মাঠে কোলেরিনের এউইন ব্র্যাডলি মাঠেই মূত্র ত্যাগ করেন। বিবিসির ক্যামেরায় সে দৃশ্য ধরাও পড়ে। বেলফাস্ট উইন্ডসোর পার্ক স্টেডিয়ামে কোলেরাইন-ফুটবলারের এ কাণ্ড সহ্য করেনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফুটবল কর্তৃপক্ষ। ব্যাপারটিকে অসদাচরণ হিসেবেই দেখেছেন তাঁরা। খেলোয়াড়দের আচরণবিধির ১৭ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের অপরাধে তাঁকে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মূত্র ত্যাগ করে এত বড় শাস্তির শিকার বোধহয় ব্র্যাডলিই প্রথম।
মাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন ব্র্যাডলি। তাঁকে নাকি বেশ কয়েকবার টয়লেটে যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। তবে এখন এই কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ব্র্যাডলি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্র্যাডলি কিছুটা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষেরও শিকার হয়েছেন।
মাঠে মূত্র ত্যাগ করে শাস্তি হতেই পারে, কিন্তু সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের শিকার তিনি কীভাবে হন! ব্যাপারটা খুলেই বলা যাক। ব্র্যাডলি একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান। সামাজিক যোগাযো মাধ্যমে কেউ কেউ ছড়াচ্ছে প্রোটেস্টান্টদের ‘অপমাণ’ করার জন্যই নাকি ক্যাথলিক ব্র্যাডলি এমন ঘৃণিত কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ব্র্যাডলি নিজেও ভেবে যাচ্ছেন না তিনি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের শিকার কেন হচ্ছেন, ‘হ্যাঁ, আমি মাঠে মূত্রত্যাগ করেছি। আমি ক্যাথলিক খ্রিস্টান। কিন্তু ২০২০ সালে এসে আমি এমন বিদ্বেষের শিকার কেন হব? আমার প্রচুর বন্ধু আছে, যারা প্রোটেস্টান্ট। আমি তাদের অপমাণ কেন করব?’
দলের গুরুত্বপূর্ণ এ খেলোয়াড়ের শাস্তি মেনে নিলেও তাঁর প্রতি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ মেনে নিতে পারছে না ব্র্যাডলির ক্লাব কোলেরাইন। তাঁরা এটাকে অন্যায় আচরণ হিসেবেই দেখছে তারা।