২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মাঠে নামার আগে তাস খেলেছেন বেনজেমা–মদরিচরা

ম্যাচ শুরুর আগে ডাগআউটে করিম বেনজেমা–লুকা মদরিচরাছবি: রয়টার্স

শেষ বাঁশি বাজল, সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে শুয়ে পড়লেন রিয়াল মাদ্রিদের কয়েক খেলোয়াড়। তাঁদের সেই শুয়ে পড়া যে হতাশার কারণে নয়, সেটা সবাই জেনেই গেছেন। রেফারির লম্বা করে বাজানো বাঁশিতে নিশ্চিত হয়েছে, লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৪তম বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে রিয়াল।

এরপরও কেন রিয়ালের খেলোয়াড়েরা মাঠে ওভাবে শুয়ে পড়লেন? পরম প্রশান্তিতে! ম্যাচের আগের ‘কী হবে ম্যাচে, কীভাবে খেলব, কেমন করেই–বা জিতব’ ধরনের টেনশন আর ম্যাচে ৯০ মিনিট ধরে চলা স্নায়ুচাপ—সবকিছুর শুভ পরিণতির পর তো হাত-পা ছেড়ে দিতেই পারে!

মাঠে শুয়ে পড়া ওই খেলোয়াড়দের মধ্যে দানি সেবায়োস ছিলেন কি না, তা ঠিক বোঝা যায়নি। তবে রিয়াল মাদ্রিদের এ মিডফিল্ডারই মনে হয় ম্যাচের আগে সবচেয়ে বেশি টেনশনে ছিলেন। এমনকি ম্যাচের আগে ঠিকভাবে ঘুমাতেও পারেননি তিনি!

লিভারপুলের বিপক্ষে কাল স্তাদ দে ফ্রান্সের ফাইনালে শুরুর একাদশে ছিলেন না সেবায়োস। ডাগআউটে বসে সতীর্থদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি যে সত্যিই বেশ স্নায়ুচাপে ভুগেছেন, তা ডাগআউটে তাঁর চেহারা দেখে টের পাওয়া যাচ্ছিল।

সেবায়োসকে মাঠে নামতে হয়েছে ৯০ মিনিটে। লুকা মদরিচের বদলি হিসেবে কোচ কার্লো আনচেলত্তি মাঠে নামিয়েছেন সেবায়োসকে। মিনিট পাঁচেক মাঠে থাকতে হয়েছে তাঁকে। এরপরই বেজেছে শেষ বাঁশি, জয়ের আনন্দে ভেসেছেন রিয়ালের খেলোয়াড় আর সমর্থকেরা।

ম্যাচের আগে দানি কারভাহাল ও মদরিচের কথপোকথন
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচ শেষে সেবায়োস তাঁর ম্যাচ–পূর্ববর্তী অবস্থা নিয়ে বলেছেন, ‘আমি তো ম্যাচের আগে হালকা ঘুমটাও দিতে পারছিলাম না!’ তবে সবার তো আর এক রকম অবস্থা হয় না। কারও কারও কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও শুধুই আরেকটা ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদে সেবায়োসের অনেক সতীর্থই যে এমন। ম্যাচের টেনশন মাথায় না নিয়ে তাঁরা তাসটাস খেলে বেরিয়েছেন খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেও।

ম্যাচ শেষে সেবায়োস বলেছেন, ‘আমি তো টেনশনে ঘুমাতেও পারছিলাম না। কিন্তু যখন দেখলাম করিম, কারভাহাল, মদরিচ...এরা কয়েক ম্যাচের ঘণ্টাকয়েক আগে তাস খেলছে, আমি ভাবলাম “ও আচ্ছা, সবাই শান্তই আছে, সবকিছু ঠিক আছে।”’

সেবায়োসের জন্য মাত্র দ্বিতীয় ফাইনাল হলেও বেনজেমা, মদরিচদের তো এটা পঞ্চম চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। আগের চারটিতেই জেতা খেলোয়াড়দের এমন শান্ত থাকাই হয়তো স্বাভাবিক।