মতের অমিল সিংহের সংসারেও
>অক্টোপাস, পান্ডা, হাতি থেকে শুরু করে এবারের বিড়াল অ্যাকিলিস—বিশ্বকাপ এলেই প্রাণিকুলের গুনিনদের এখন কী যে কদর! কলম্বিয়ার চিড়িয়াখানায় জ্যোতিষবিদ্যা ফলাচ্ছে এক জোড় সিংহ। বসে নেই জার্মানির বাঘও। জীবজন্তু যেভাবে গুনিন হয়ে যাচ্ছে, তাতে বিশ্বকাপের দিনে এখন মানব জ্যোতিষীর ভাত মার!
জ্যোতিষবিদ্যা শুধু মানুষই পারে, প্রাণিজগতের আরও কেউ পারে না—এ ধারণাকে ২০১০ বিশ্বকাপেই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে অক্টোপাস পল! কোনো জ্যোতিষী (অবশ্যই মানব) যা পারেনি, সেটিই করে দেখিয়েছে অক্টোপাস পল! ২০১০ বিশ্বকাপে জার্মানির সব কটি ম্যাচ এবং ফাইনাল—মোট আটটি ম্যাচের ফলাফলের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করায় গুনিন পলের নাম ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে।
পল গত হয়েছে কবেই। তবে তার ধারাটা ধরে রেখেছে জীবজগতের আরও অনেক প্রাণী। ২০১৪ বিশ্বকাপে গুনিন পরিচয়ে এল শাহিন নামের এক উট। ব্রাজিল বিশ্বকাপে পান্ডাও হয়ে গেল জ্যোতিষী। পুঁচকে সব জীবজন্তুর ভবিষ্যদ্বাণী করতে দেখে মস্ত শরীরের হাতিকেও গুনিন পরিচয়ে দেখা গেল। আর এবার তো সাদা বিড়াল অ্যাকিলিস বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়াকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে বেশ হইচই ফেলে দিল।
হাতি, বিড়াল যদি গুনিন হতে পারে, বনের রাজা সিংহ কেন নয়? গুনিন দুই সিংহকে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে কলম্বিয়ার সান্তা ফে চিড়িয়াখানায়। সিংহ-সিংহীর বেশ আয়েশেই দিন কাটছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ তাদের দায়িত্ব দিয়েছে—একটু জ্যোতিষগিরি করতে হবে। দুজনের প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ ১৯ জুন, অর্থাৎ আজকের কলম্বিয়া-জাপান ম্যাচের ভবিষ্যৎ বলা। সিংহের রায় জাপানের দিকে। কর্তার সিদ্ধান্তে একমত নয় সিংহী, তার কথা কলম্বিয়াই জিতবে। কী বুঝলেন? বিশ্বসংসারে মতের অমিল থাকবেই। সে হোক দ্বিপদের সংসার কিংবা চতুষ্পদের!