বয়সকে উল্টো পথে হাঁটাচ্ছেন রেকর্ড গড়া ইব্রা
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ যে বয়সে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সে বয়সে অনেকে কোচ হন। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই অন্তত মাঠের খেলা ছেড়ে দেন। কিন্তু ইব্রা অন্য ধাতে গড়া মানুষ। তাঁর খেলা ও কথা অন্য যে কারও চেয়ে আলাদা। ইব্রার নিজের ভাষায় ‘জ্লাতানীয়’। কাল সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে ইব্রার কাছ থেকে জোড়া গোল পেয়েছে এসি মিলান। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়লেন ৩৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি থেকে গত জানুয়ারিতে মিলানে যোগ দেন ইব্রা। ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে এরপর থেকেই নিয়মিত গোল করলেন সুইডিশ তারকা। তাতে লিগ টেবিলে ১১তম স্থান থেকে ছয়ে উঠে এসেছে মিলান। নিশ্চিত হয়ে ইউরোপা লিগে খেলাও। গুঞ্জন আছে এ মৌসুম শেষেই মিলান ছাড়বেন ইব্রা। তবে ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিওবার্তায় অন্য ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন তিনি। সেটি অবশ্যই ‘জ্লাতানীয়’ কথার ঢংয়ে। গত শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ইব্রা বলেন, ‘তাহলে আপনারা ভাবছেন আমার ক্যারিয়ার দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। আপনারা আমাকে এখনো চিনতে পারেননি। সবার প্রতি বলছি, আমি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, কেবল গা-টা গরম করছি।’ সাম্পদোরিয়াকে হারানোর পর মিলান টিভি-কেও নিজস্ব ঢংয়ে ইব্রা বলেছেন, ‘আমি হচ্ছি বেনজামিন বাটনের মতো। বুড়ো নয় সব সময়ই তরুণ ছিলাম।’
এফ.স্কট ফিটজেরাল্ডের ছোটগল্প ‘দ্য কিউরিয়াস কেস অব বেনজামিন বাটন’ অবলম্বনে ২০০৮ সালে বানানো সিনেমা ‘দ্য কিউরিয়াস কেস অব বেনজামিন বাটন’-এর ইঙ্গিত দিয়েছেন ইব্রা। বেনজামিন বাটন চরিত্রে অভিনয় করা ব্রাড পিট বুড়ো না হয়ে ধীরে ধীরে শৈশবে ফিরেছেন। সে যাই হোক, মিলানের হয়ে এ নিয়ে ৫০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন ইব্রা। ক্লাবটিতে এর আগে প্রথম মেয়াদে করেছিলেন ৪২ গোল। এবার ১৭ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৯ গোল পেলেন তিনি। লিগে আরও এক ম্যাচ খেলবে এসি মিলান। তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের হয়েও ন্যূনতম ৫০ গোল রয়েছে ইব্রার। ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইন্টারের হয়ে ৫৭ গোল করেছেন জুভেন্টাস, বার্সেলোনা,পিএসজি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এ তারকা। অর্থাৎ ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে মিলানের দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়েই ন্যূনতম ৫০ গোলের রেকর্ড গড়লেন ইব্রা।
ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মিলিয়ে ৯৩৪ ম্যাচে ইব্রার গোলসংখ্যা ৫৫২। এ মুহূর্তে খেলে চলা ফুটবলারদের মধ্যে গোলসংখ্যায় ইব্রার চেয়ে এগিয়ে শুধু লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।