বড় শাস্তিই পাচ্ছেন নেইমার
>নেইমার গালাগাল করেছিলেন উয়েফাকে। শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে পিএসজি। মেজাজ হারানো নেইমার রাগটা ঝেড়েছিলেন উয়েফার ওপর। তারই শাস্তি পেতে যাচ্ছেন নেইমার চোট তাঁকে ছিটকে দিয়েছে মাঠ থেকে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লিগে নিজের মাঠে দর্শক। নেইমারের বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্নটা বারবার তাই আটকে যাচ্ছে ইউরোপ–সেরা হওয়ার মাঝপথেই। এবার তবু আশা জেগেছিল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টপকে কোয়ার্টারে যাবে পিএসজি। কিন্তু শেষ মুহূর্তের পেনাল্টি গোলে উল্টো বিদায় নিয়েছে ফ্রেঞ্চ ক্লাব। মেজাজ হারিয়ে ইনস্টাগ্রামে উয়েফাকে গালাগাল করেছিলেন নেইমার। ব্রাজিল তারকার বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
প্রথম লেগে ইউনাইটেডের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জয়। নিজেদের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারছিল পিএসজি। তবু ওই ফলই কোয়ার্টারে নিয়ে যেত নেইমারকে। তাহলেই এ মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নস লিগে আবার নামার সুযোগ হতো নেইমারের। এমন অবস্থায় পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। সিদ্ধান্তটি বিতর্কমুক্ত নয়। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছিল সে সিদ্ধান্ত। পেনাল্টি থেকে রাশফোর্ডের ওই গোলেই হার নিশ্চিত হয় পিএসজির।
এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন নেইমার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সেই হ্যান্ডবলের ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করে নেইমার লেখেন, ‘এটা লজ্জার। উয়েফা এখনো চার ব্যক্তির ওপর দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছে যারা ফুটবল ও ভিএআর রিভিউ নিয়ে কিছুই জানে না। এটি হ্যান্ডবল না। পেছনে হ্যান্ডবল হয় কীভাবে?’ এতটুকু বলেই উয়েফাকে বেশ কিছু খিস্তি-খেউড় করেন নেইমার।
এ ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের শেষে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে উয়েফা। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘উয়েফার নিয়ন্ত্রণ, নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা কমিটি এ ঘটনার দায়িত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে কবে শুনানি হবে, সেটা পরে জানানো হবে।’ নেইমারের এ ঘটনাকে শৃঙ্খলা নীতির ধারা ১১ ভাঙার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ধারায় ফুটবল মাঠে আচরণবিধি আলোচনা করা হয়েছে। এতে এক থেকে সর্বোচ্চ তিন ম্যাচের শাস্তিও জুটতে পারে নেইমারের।