বিপদে বাংলাদেশকে ঘরে থাকতে বলছেন এক আর্জেন্টাইন
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ট্রেনার হিসেবে খুবই পরিচিত এক নাম আর্জেন্টিনার এরিয়াল কোলম্যান। জাতীয় দলের ট্রেনার হিসেবে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু। দুই দফায় জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার পর সে পর্ব চুকে গেলেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেষ মৌসুমেও শেখ জামালের খেলোয়াড়দের ফিটনেস ঠিক রাখার দায়িত্ব ছিল এই আর্জেন্টাইনের কাঁধে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় এক যুগেরও বেশি সম্পর্ক। তাই বাংলাদেশের জন্য মনে সব সময় আলাদা একটি স্থান রেখে দিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসে পুরো বিশ্ব এখন আতঙ্কে। এই সংকটে আর্জেন্টিনা ধুঁকছে। দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে গৃহবন্দী করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ নিয়ে তাঁর উৎকণ্ঠা তো আছেই। তবে তাঁর দ্বিতীয় বাংলাদেশের জন্যও তাঁর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। হাজার হাজার মাইল দূরে বসে এমন বিপদের সময়ে কীই-বা করতে পারেন! বুয়েনেস এইরেসের বাসায় পরিবারের সঙ্গে নিজেকে বন্দী করে রেখেছেন। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশকেও থাকতে বলেছেন ঘরবন্দী হয়ে। বাংলাদেশের পতাকার সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘বাসায় থাকো বাংলাদেশ।’
২০০৫ সালে স্বদেশি কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ দলের প্রথম দায়িত্ব নেওয়া। ২০০৭ সালে ক্রুসিয়ানির সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁকেও। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ সালে ব্রাজিলিয়ান কোচ এডসন সিলভা ডিডোর সহকারী হিসেবে আবার বাংলাদেশ পর্ব শুরু। কিন্তু আবার আর্জেন্টিনায় ফিরে যান। এর পরে ২০১৪ থেকে সর্বশেষ মৌসুম পর্যন্ত শেখ জামাল ধানমন্ডির খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে ফিট রাখার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। অনেকবারই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর্জেন্টিনার বুয়েনেস এইরেসে তাঁর বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকাও টাঙানো আছে।