বাড়ির দেয়াল ধসিয়ে দিল রোনালদোর ১৪ কোটি টাকার বুগাত্তি
স্পেনের মায়োর্কায় ছুটি কাটাতে যাওয়ার সময় নিজের গ্যারাজ থেকে দুটি গাড়িও নিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যেনতেন গাড়ি নয়, তাঁর গ্যারাজের অন্যতম দামি গাড়ি বুগাত্তি ভেইরন ও মার্সিডিজ–বেঞ্জ জি ক্লাস। পর্তুগিজ তারকার এখন মনে হতে পারে, গাড়ি না নিয়ে গেলেই ভালো হতো!
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাল রাতে জানিয়েছে, রোনালদোর দেড় কোটি ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) দামের গাড়িটি কাল মায়োর্কায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। পালমা দে মায়োর্কা অঞ্চলে একটি বাড়িতে ঢোকার সময় গাড়িটি সরাসরি দেয়ালে ধাক্কা মারে।
এ সময় স্পোর্টস কারটি চালাচ্ছিলেন রোনালদোর এক নিরাপত্তারক্ষী। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা এ সময় গাড়িতে ছিলেন না।
মায়োর্কার ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। বুগাত্তির সামনের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো গাড়ি জড়িত ছিল না। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জোয়ান মার্চ হাসপাতালের কাছাকাছি এক বাড়িতে ঢোকার সময় গাড়িটির আঘাতে সেই বাড়ির দেয়াল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোনালদোর সেই নিরাপত্তারক্ষী অবশ্য কোনো আঘাত পাননি।
জাহাজে করে গাড়ি দুটি মায়োর্কায় নিয়ে যান রোনালদো। প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজ ও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড নিজে অবশ্য আকাশপথেই ভ্রমণ করেছেন। ত্রামুনতানা পর্বতমালার পাশে এক বিলাসবহুল বাড়িতে উঠেছেন তাঁরা।
নিজের সুপার ইয়টে করে সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। গাড়ি, ইয়ট, পরিবার—সব মিলিয়ে সময়টা ভালোই কাটছিল তাঁর। কিন্তু বুগাত্তির দুর্ঘটনার শিকার হওয়াটা নিশ্চিতভাবেই ছুটির আমেজ নষ্ট করেছে। গত এপ্রিলে জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তান এসমারেলদাকে নিয়ে এই প্রথম ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন রোনালদো। এসমারেলদার যমজ ভাইটি জন্ম নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যায়।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ছুটি কাটাতে মায়োর্কায় আরও তিন–চার দিন থাকবেন রোনালদো। পামগাছশোভিত যে বাসায় তাঁরা উঠেছেন, সেখানে সুইমিংপুল, জাকুজ্জি, বিচ ভলিবল কোর্ট, ফুটবল খেলার ছোট মাঠও আছে। এই একই বাসায় পরিবারকে নিয়ে ছুটি কাটিয়েছেন রোনালদোর একসময়ের রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ সের্হিও রামোস।
রোনালদোর গ্যারাজে ২০টির বেশি গাড়ির সমাহার। আর গাড়িগুলোও যেমনতেমন মডেলের নয়। রোনালদোর গাড়িপ্রীতির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো, শুধু বিলাসবহুল হলেই চলবে না, ইঞ্জিন ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে সেটি সাধারণ গাড়ির চেয়ে আলাদা হতে হবে। এ খেয়ালেই তিনি অন্যদের কাছেও লোভনীয় করে তুলেছেন নিজের গ্যারাজকে।
কী নেই সেখানে! পোরশে ৯১১ কারেয়া টুএস ক্যাব্রিওলে থেকে শুরু করে অডি আর ৮, ফেরারি ৫৯৯ জিটিবি, ফেরারি এফ৪৩০—কোনটা রেখে কোনটার দিকে তাকাবেন!