বার্সেলোনার জয় ছাপিয়ে আরাউহোকে নিয়ে শঙ্কা

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরাউহোকেটুইটার

মাঝমাঠে উপরে থাকা বলে হেড করতে গিয়েছিলেন দুজনেই—দুই বার্সেলোনা সতীর্থ গাভি ও রোনাল্ড আরাউহো। হেড গাভিই করলেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে একজনের মাথার সঙ্গে অন্যজনের মাথা লেগে গেল সজোরে।

আরাউহো পড়ে গেলেন সঙ্গে সঙ্গেই। উঠতে পারছিলেন না। বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর একবার উঠে দাঁড়ালেন, হাটার চেষ্টাও করলেন। কিন্তু মাটিতে পড়ে গেলেন সঙ্গে সঙ্গেই। মাঠে ডাকা হলো অ্যাম্বুলেন্স। তড়িঘড়ি করে বার্সেলোনার উরুগুইয়ান ডিফেন্ডারকে পাঠানো হলো হাসপাতালে।

ঘটনাটা আজ ক্যাম্প ন্যু-তে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচের ৬২ মিনিটে। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সা। কিন্তু সেই জয় ছাপিয়ে এখন আরাউহোকে নিয়ে উদ্বেগটাই বেশি বার্সেলোনার, ফুটবলপ্রেমীদেরও। হাসপাতাল থেকে যাতে কোনো দুঃসংবাদ না আসে, এটাই এখন প্রত্যাশা সবার।

মাটিতে পড়ে থাকা আরাউহোকে তোলার চেষ্টা করছে চিকিৎসক ও বার্সার সতীর্থরা
রয়টার্স

এমনিতেই এই ম্যাচ নিয়ে বিশেষ কোনো আগ্রহ থাকার কথা না বার্সেলোনা সমর্থক কিংবা লা লিগার অনুসারীদের। লা লিগার ট্রফি তো রিয়াল মাদ্রিদ আগেই জিতে নিয়েছে। বার্সেলোনা চেয়ে চেয়ে দেখেছে সেই উদযাপন। এই মৌসুমে শিরোপা জেতার আশা অবশ্য বার্সা কখনোই জাগাতে পারেনি। মৌসুমের শেষদিকে এসে বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজের মূল লক্ষ্য ছিল আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করা। সেটা বার্সেলোনা এরই মধ্যে করেছে। তারপর জাভি আরও একটা লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন—অন্তত রানার্স আপ হয়ে মৌসুমটা শেষ করা।

তো সেল্তা ভিগোকে হারিয়ে সেই লক্ষ্যের পথে আজ আরেকটু এগিয়েছে জাভির দল। এ জয়ের পর ৩৬ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭২, পয়েন্ট তালিকায় তারা দুই নম্বরে। ৩৫ ম্যাচ শেষে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া তিনে, ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে আতলেতিকো মাদ্রিদ।

গোলের পর মেম্ফিস ডিপাই
রয়টার্স

৩০ মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় বার্সা। উসমান দেম্বেলে দারুণ ড্রিবলিংয়ের পর কাট ব্যাক করেন মেম্ফিস ডিপাইয়ের দিকে। ডাচ ফরোয়ার্ডের শট ঠেকাতে পারেননি ঠেকাতে পারেননি সেল্তা গোলরক্ষক। ৪১ মিনিটে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে বার্সা। বিরতির পর মাঠে নামার মিনিট তিনেকের মধ্যেই অবামেয়াং পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় গোলটাও, বার্সা এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে।

গোলের পর অবামেয়াংয়ের উদযাপন
রয়টার্স

বার্সেলোনার রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগ নিয়ে ৫০ মিনিটে ব্যবধান কমান ইয়াগো আসপাস। কিন্তু ওই পর্যন্তই। ৫৮ মিনিটে মেম্ফিসকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সেল্তার সেন্টার ব্যাক জেইসন মুরিয়ো। ১০ জন নিয়ে খেলে বাকি সময়টা আর কিছু করতে পারেনি সেল্তা। উল্টো আরাউহোর ঘটনায় মানসিক ধাক্কাটা না খেলে বরং ব্যবধান আরও বাড়াতেই পারত বার্সেলোনা।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন