বাবার দল গোল খেয়েছে, তাই এত খুশি মাতেও
মাতেও মেসিকে নিয়ে মহা ঝামেলায় আছেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার অধিনায়ক তিনি, কাতালান ক্লাবের সব স্বপ্ন তাঁর কাঁধে। বার্সেলোনাকে সবকিছু জেতানোর জন্য এবারও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছেন মেসি। এ কাজে সমর্থকদের সাহায্য দরকার হবে তাঁর। কিন্তু ঘর থেকেই যে পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন না মেসি!
মেসির তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোটজন এখনো মাঠের সঙ্গে পরিচিত নন। তবে থিয়াগো ও মাতেও নিয়মিত মাঠে খেলা দেখতে আসেন এবং সমর্থকদের মজার সব স্মৃতি উপহার দেন। কালই যেমন রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে টিভি পর্দায় হাসির রোল ফেলে দিয়েছে মাতেও। কাল ম্যাচের এক মুহূর্তে ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন মেসি ও তাঁর দুই ছেলে। সঙ্গে লুইস সুয়ারেজ ও তাঁর পুত্রও ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে গোল করে বসে বেতিস। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে ফেটে পড়ে মাতেও। উল্লাসে হাততালিও দিতে থাকে।
সেটা দেখে সুয়ারেজ পাশ থেকে মৃদু বকুনিও দিলেন। হাসতে হাসতে দেওয়া সে বকুনিতে অবশ্য মজা পাওয়াটাই বোঝা গেছে। মেসিও ছেলের কাণ্ডে হেসে ফেলেছেন। এ ‘কুকর্ম’ আড়াল করার চেষ্টাও করেছেন ছেলেকে কাছে টেনে। ধারাভাষ্যকাররাও হেসে ফেলেছেন এ কাণ্ডে।
চার বছরের মাতেওর এমন আচরণ অবশ্য নতুন কিছু নয়। পরিবারের সবাই বার্সেলোনাপ্রেমী হলেও মাতেও কোনো এক কারণে বার্সেলোনার শুভানুধ্যায়ী নয়। এর আগেও মেসি জানিয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় পুত্র মাতেও বার্সেলোনার হার দেখতে পছন্দ করে। গত জুনে টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন মেসি। বড় ভাই থিয়াগো বার্সেলোনার সমর্থক, তাই ভাইকে খ্যাপাতে রিয়াল গোল করলে মাতেও উদ্যাপন করে।
বার্সেলোনাকে হারানো ক্লাবগুলোও সে সমর্থন করে বাবাকে খোঁচা দিতে, ‘মাতেও এখনো ফুটবল সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বোঝে না। কিন্তু সে ফুটবল ভালোবাসে এবং সব জার্সিই পরে। শেষবার যখন আমরা বাড়িতে ফুটবল খেলছিলাম, “তখন সে আমাকে বলল: আমি লিভারপুল বেছে নেব, যারা তোমাকে হারাল। আমি লিভারপুল। তুমি বার্সেলোনা।” ঠিক যেমন আমরা যখন ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারলাম, তখন সে বলল, ‘ভ্যালেন্সিয়া তোমাকে হারাল! আমি ভ্যালেন্সিয়াকে সমর্থন করি।’
মাতেওর উল্লাস দেখুন এখানে