বান্ধবী পেটানোর সন্দেহে গ্রেপ্তার গিগস

কেট গ্রেভিলের সঙ্গে গিগসের সম্পর্ক সেই ২০১৭ থেকে।ছবি: টুইটার

ফুটবলার হিসেবে রায়ান গিগসের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই নিঃসন্দেহে। কিন্তু মানুষ হিসেবে? প্রশ্ন থেকেই যায়।

ভাই রড্রি গিগসের স্ত্রী নাতাশার সঙ্গে টানা আট বছর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, ওয়েলশ মডেল ইমোজেন থমাসের সঙ্গেও তাঁর পরকীয়ার কথা সবার জানা। এসব কারণে নিজের পরিবারের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ঠিক নেই। স্ত্রী স্টেসি কুক পরে বিরক্ত হয়ে গিগসকে ছেড়ে চলে গেছেন বছর তিনেক হলো। এরপর থেকে গণসংযোগ কর্মকর্তা কেট গ্রেভিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এখন জানা গেল, সেই গ্রেভিলের সঙ্গেও খিটিমিটি লেগেই আছে গিগসের। গ্রেভিলকে শারীরিক নির্যাতনের দায়ে গত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ওয়েলশ ফুটবলারকে।

গত রোববার রাত ১০টার দিকে বৃহত্তর ম্যানচেস্টার পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে, ম্যানচেস্টারের ওর্সলিতে অবস্থিত গিগসের বিলাসবহুল ম্যানশনে ‘বিশৃঙ্খলা’ হচ্ছে। সে বিশৃঙ্খলাটা কী, সেটা জানতে গিয়েই পুলিশ বের করে এই কাহিনি। পুলিশের মুখপাত্র ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানকে জানান, রোববার রাত ১০টা ৫ মিনিটে পুলিশের কাছে একটা অভিযোগ আসে, বিশৃঙ্খলার। ত্রিশের কোঠায় থাকা এক নারী চোট পেয়েছেন, কিন্তু কোনো চিকিৎসার দরকার পড়েনি তাঁর।

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রেপ্তার করা হয় গিগসকে, জানিয়েছে পুলিশ, ‘৪৭ ধারায় সম্ভাব্য নির্যাতন ও ৩৯ ধারায় নিপীড়নের দায়ে ৪৬ বছর বয়সী এক পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

যদিও পুলিশ স্টেশনে গিগসকে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি; ওয়েলসের ম্যানেজারকে শারীরিক নিগ্রহ ও নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কিছু প্রশ্ন করেই ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পরে জামিনে বের হয়ে যান গিগস। পরে পাপারাজ্জিদের তোলা বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, পেন্ডলটন পুলিশ স্টেশন থেকে বের হচ্ছেন গিগস।

ভাবি নাতাশার সঙ্গে আট বছর পরকীয়া করেছেন সাবেক এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা।
ছবি: টুইটার

এদিকে গিগসের মুখপাত্র ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের কাছে গিগসকে নিরপরাধ দাবি করেছেন, ‘গিগসের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার প্রতিটি অস্বীকার করেছেন তিনি। পুলিশকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছেন গিগস। যতক্ষণ না পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়, তিনি সহযোগিতা করে যাবেন।’

এদিকে গ্যারেথ বেল, অ্যারন র‍্যামসিদের কোচ এহেন বিতর্কে জড়িয়েছেন, জাতীয় দল ওয়েলস চুপ করে থাকতে পারে? বিবৃতি দিয়েছে ওয়েলশ ফুটবল সংস্থাও। তারা জানিয়েছে, ওয়েলশের পুরুষ ফুটবল দলের কোচ রায়ান গিগসকে জড়িয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের বিষয়টা নজরে এসেছে এফএডব্লুর (ওয়েলশ ফুটবল সংস্থা)। এ ব্যাপারে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এফএডব্লু কিছুই জানাবে না।’

সেই ২০১৩ সাল থেকে গিগসের হোটেল ফুটবলেএর গণসংযোগ কর্মকর্তা কেট গ্রেভিল। সেই থেকেই গ্রেভিলের সঙ্গে পরিচয় গিগসের। পরিচয়ের ১৮ মাস পরেই গ্রেভিলের বিবাহবিচ্ছেদ হয় স্বামী ড্যামিয়েন বুর্কের সঙ্গে। সে সময়ে বুর্ক বিবাহবিচ্ছেদের জন্য গিগসকে দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে গিগস ‘তৃতীয় ব্যক্তি’। যদিও গিগস বা গ্রেভিল, দুজনই তাঁদের ওপর আসা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। গিগস তখনো নিজের স্ত্রী স্টেসি কুকের সঙ্গে ছিলেন। ২০১৭ সালে নিজের বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর গ্রেভিলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেন গিগস।

সে সম্পর্ক এখন আর অত মধুর নেই হয়তো!