বাংলাদেশের জার্সিতে কিংসলি? চাই ফিফার ছাড়পত্র
প্রায় দেড় মাসের ছুটি কাটিয়ে শুক্রবার ঢাকায় ফিরেছেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে এসে সাক্ষাৎ করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে।
দুজনের আলোচনার বিষয়বস্তু জুড়ে ছিল সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ও কিরগিজস্তানে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। ফিফার ছাড়পত্র পাওয়া গেলে কিরগিজস্তান সফরে অভিষেক হতে পারে এলিটা কিংসলির।
১ থেকে ১৩ অক্টোবর মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে সেপ্টেম্বরে ৩টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে কিরগিজস্তানে যাবে বাংলাদেশ দল। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে জাতীয় দলের কার্যক্রম নিয়েই সভাপতি ও কোচের আলোচনা।
সভা শেষে গণমাধ্যমকে জেমি ডে বলেন, ‘সভাপতির সঙ্গে পরবর্তী ৩ মাসের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সামনেই সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এর আগে কিরগিজস্তানে ৩টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব আমরা। সেখানে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের ভুলত্রুটি বের হয়ে আসবে। ভালো কিছু করতে পারলে সাফের প্রস্তুতির জন্য ভালো হবে।’
৫, ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে ফিলিস্তিন, কিরগিজস্তান ও কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব–২৩ দলের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান সূচি অনুযায়ী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত খেলা আছে। এর পরের দিন থেকেই জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করতে চান জেমি। এর আগে ২৬ আগস্টেই এএফসি কাপ মিশন শেষ করে দেশে ফেরার কথা রয়েছে বসুন্ধরা কিংসের। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, কিরগিজস্তানের ৩ ম্যাচের জন্য মূল অনুশীলন পর্বটা সেখানে গিয়েই সাড়তে চান জেমি। এই সফরের খেলোয়াড়দের নিয়েই সাজানো হবে সাফের দল।
কারা থাকছেন দলে? জেমির জবাব, ‘শেষ ৩ বছরে আমি ক্লাবগুলোতে একই ফুটবলার খেলতে দেখেছি। খুব একটা পরিবর্তন নেই। তাই দলেও ১০–১২ জন পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আমার হাতে আরও কয়েক দিন সময় আছে। কয়েকটি নতুন মুখ থাকতে পারে। আমার লক্ষ্য থাকবে সেরাদের মধ্যে যেন কেউ দল থেকে বাদ না পড়ে।’
বর্তমান সময়ে জাতীয় দলের প্রসঙ্গ উঠলেই একটা প্রশ্ন অবধারিত—নাইজেরিয়ায় জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এলিটা কিংসলিকে জাতীয় দলে ডাকা হবে কি না? বর্তমানে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে মালদ্বীপে আছেন কিংসলি। কিন্তু বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র না পাওয়ায় এএফসি কাপ খেলা হচ্ছে না তাঁর।
কিংসলি যে জেমির নজরে আছে, তা বোঝা গেল জেমির কথায়। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ বলেন, ‘কিংসলির ভালো সুযোগ আছে। তবে সেটি নির্ভর করছে তাঁর খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার ওপর।’
ফিফার অনুমতির ওপরেই নির্ভর করছে বাংলাদেশের জার্সিতে কিংসলির খেলা। অনেকেই মনে করেন, মার্চে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া কিংসলিই হতে পারেন জাতীয় দলের গোলদাতা সমস্যার আপাত সমাধান। কিন্তু নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁর ছাড়পত্র ব্যবস্থা এখনো করতে পারেনি বাফুফে।