বাংলাদেশের গোলরক্ষকদের দায়িত্বে ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক
>নতুন গোলরক্ষক কোচ পেল বাংলাদেশ। লাওসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইপর্বে এ দায়িত্ব থাকবেন ইংল্যান্ডের রবার্ট অ্যান্ড্রু মিমস। ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহামের হয়ে এক সময় খেলেছেন এই মিমস।
রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৮ ম্যাচে ৩২ গোল খেয়েছিল বাংলাদেশ। এটা একটা রেকর্ড। গত সেপ্টেম্বরে গ্রুপপর্বে প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেও নেপালের বিপক্ষে গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের শিশুসুলভ ভুলে গোল খেয়ে সেমিতে ওঠা হয়নি জাতীয় দলের। সাফের আগেও আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এই সোহেলের ভুলেই শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয়। বাংলাদেশের ফুটবলের চিরকালীন সমস্যা গোল করার লোকের অভাব। নতুন যুক্ত হয়েছে গোল ঠেকানোর যোগ্য মানুষের অভাব। বিষয়টা ভাবিয়ে তুলেছে ফেডারেশনকে।
লাওসের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ের আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইংলিশ গোলরক্ষক কোচ রবার্ট অ্যান্ড্রু মিমসকে। ৫৫ বছর বয়সী এই কোচের খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার। ম্যানচেস্টার সিটি, টটেনহাম ও এভারটনের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বড় বড় ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন এভারটনের জার্সিতে। মাঝে ধারে ম্যানসিটিতে খেলেছেন ১৯৮৭ সালে। এর পরের দুই বছর টটেনহামে। ইংল্যান্ডের মূল জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না পেলেও খেলেছেন যুব দলে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মিমসের কোচিং ক্যারিয়ারটাও বেশ সমৃদ্ধ। আশরাফুল রানা, আনিসুর রহমানদের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডসহ বাহরাইন জাতীয় দলের গোলরক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। প্রতিবেশী ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইএসএলের ক্লাব অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার দায়িত্বে ছিলেন। সুতরাং এই অঞ্চলের ফুটবলের সম্পর্কে তাঁর ধারণাটা ভালোই। মিমসের সঙ্গেও বাংলাদেশের চুক্তি লাওস ম্যাচ পর্যন্ত।
কিন্তু গোলরক্ষক কোচের বদলটা কি একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে? গত এক বছরের মধ্যে চারজন গোলরক্ষক কোচ কাজ করেছেন জাতীয় দলের সঙ্গে। শেষ নয় ম্যাচে গোলরক্ষক কোচ বদল হয়েছে তিনবার। ২০১৮ সালের মার্চে লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোলরক্ষকদের সামলেছেন ব্রিটিশ জেসন ব্রাউন। এর পরে সাফ ফুটবল ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ছিলেন স্থানীয় নূরুজ্জামান নয়ন। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে শেষ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ডিন মে।
লাওসের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইয়ের ম্যাচ জুনে। ৬ জুন ভিয়েনতিয়েনে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ফিরতি পর্বের ম্যাচটি ১১ জুন ঢাকায়। লাওস মিশন সামনে রেখে আজ থাইল্যান্ডে রওনা হয়েছে জাতীয় দল। দশ দিনের অনুশীলন শেষে সেখান থেকেই ৩ জুন লাওস। এর আগে ২৮ মে এবং ১ জুন থাই লিগে দুটি দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দল। এয়ার ফোর্স ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে জামাল ভূঁইয়ারা প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ২৮ মে। ১ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ব্যাংকক গ্লাস পাথুম ইউনাইটেড। দুটি ক্লাবই গত মৌসুমে থাই লিগ-১ থেকে নেমে গেছে থাই লিগ-২ তে।