বসুন্ধরাকে রক্ষা করতে ইরান থেকে আসছেন তিনি
এএফসি কাপ বাতিল হয়ে যাওয়ার ধাক্কা এখনো কাটিয়ে ওঠার কথা নয় বসুন্ধরা কিংসের। তবে এতে সময় ব্যয় না করে আগামী এএফসি কাপ ও ঘরোয়া মৌসুমকে সামনে রেখে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার বন্দোবস্ত করে ফেলছে কিংস। খেলার সূচি এখনো চূড়ান্ত না হলেও আগেভাগেই বিদেশি খেলোয়াড় এনে তৈরি হচ্ছে তারা। নতুন করে দলে নেওয়া হয়েছে ইরানের ডিফেন্ডার খালেদ সাফিইকে। ৩৩ বছর বয়সী ইরানি এই ডিফেন্ডার সর্বশেষ খেলেছেন ইরান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সেপাহান স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া এএফসি কাপে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিল বসুন্ধরা। মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয় পেলেও ম্যাচের প্রথমার্ধে ফুটে উঠেছিল রক্ষণভাগে ফাঁক ফোকর। আর্জেন্টাইন হোল্ডিং মিডফিল্ডার নিকোলাস দেলমন্তেকে মিডফিল্ড থেকে সরিয়ে এনে দ্বিতীয়ার্ধে সেন্টারব্যাক খেলিয়ে সেই ম্যাচে পার পেয়েছিল তারা। তখনই ক্লাব কর্তারা সিদ্ধান্ত নেয় ভালো মানের একজন সেন্টারব্যাক দলে ভেড়ানোর। সেই হিসেবে খালেদকে আনতে যাচ্ছে বসুন্ধরা।
ফেডারেশন কাপ দিয়ে ডিসেম্বরে নতুন মৌসুম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এছাড়া জানুয়ারিতেই এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলের প্লে অফ পর্ব শুরু হওয়ার কথা। অবশ্য শেষ ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সরাসরি এএফসি কাপে খেলবে বসুন্ধরা। মার্চে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে সে টুর্নামেন্টের। এএফসি কাপ ও ঘরোয়া মৌসুমকে সামনে রেখে এরই মধ্যে তিন বিদেশি ফুটবলার চূড়ান্ত হয়ে গেল বসুন্ধরার। খালেদের আগে দলে নেওয়া হয়েছে দুই ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো ও জোনাথন ফার্নান্দেজকে। ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পা রেখে বর্তমানে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে আছেন তাঁরা। দলে আছেন আরও একজন বিদেশি—আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার হার্নান বার্কোস।
ডিসেম্বরেই বসুন্ধরার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে বার্কোসের। এরই মধ্যে বার্কোসের বাংলাদেশ ছাড়ার ব্যাপারে গুঞ্জন শুরু হলেও তাঁর সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আগ্রহী বসুন্ধরাও। শেষ পর্যন্ত খালেদ, রবিনহো ও ফার্নান্দেজের সঙ্গে বার্কোসও রয়ে গেলে দারুণ একটি দল হয়ে উঠবে কিংসরা, এ কথা বলাই যায়।
আগামী মাসেই খালেদ ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন ক্লাবের মিডিয়া ম্যানেজার আহমেদ শায়েক। বসুন্ধরার সঙ্গে তাঁর এক বছরের চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া ম্যানেজার। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সেপাহানের হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলেছেন। রক্ষণের পাশাপাশি একটি গোলও করেছেন খালেদ। সেপাহান ছাড়া ইরান প্রিমিয়ার লিগের নাফ তেহরান, ট্রাক্টর স্পোর্টস ক্লাব, জোব আহান ইস্পাহানের হয়ে খেলেছেন। এছাড়া ২০১৭ সালে কোরিয়ার বিখ্যাত ক্লাব এফসি সিউলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর।