বদলি নামা সেই মাহবুবুরই সিরিজ–সেরা
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হতে কি আর পুরো ম্যাচ খেলতে হয়?
মজার ছলে সতীর্থদের উদ্দেশে প্রশ্নটি এভাবে করতেই পারেন মাহবুবুর রহমান। মুজিব বর্ষ সিরিজের দুটি ম্যাচেই বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। তাতেই তাঁর হাতে উঠে গেছে টুর্নামেন্টের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল’ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
এই পুরস্কারের পেছনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে প্রথম ম্যাচের দুর্দান্ত গোলটি। ১৩ নভেম্বর সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড মাহবুবুর। তাঁর সেই গোলের সুরভি ছড়াচ্ছে এখনো।
ম্যাচের ৮০ মিনিটের ঘটনা। মাঝমাঠের ওপরে নেপাল ডিফেন্ডারের পা থেকে প্রথমে বলটি কেড়ে নেন তিনি। এরপর বদলি মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে ব্যাকপাস করেই মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে দিলেন ভোঁ–দৌড়। সোহেলের থ্রু বলটি নিয়ন্ত্রণে নিলেন ডি–বক্সের প্রায় ৭-৮ গজ বাইরে। ততক্ষণে পোস্ট ছেড়ে তাঁকে আটকাতে এগিয়ে আসেন নেপাল গোলকিপার কিরণ চেমজং। তাঁর পাশ দিয়ে মাহবুবুরের দারুণ প্লেসিং জালে। গোলটিতে ছিল পরিপক্ব এক স্ট্রাইকারের ছাপ।
আজ গোলশূন্য ড্রয়ের ম্যাচেও দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামা। গোলের রাস্তা খুঁজে না পেলেও তাঁর উপস্থিতি নেপাল রক্ষণভাগে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, তাতেই মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের। সঙ্গে বিচারকদেরও। ম্যাচ শেষে মাহবুবুরের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
২০১৮ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে লাওসের বিপক্ষে অভিষেক হয় মাহবুবুরের। অভিষেক ম্যাচেও বদলি নেমে গোল করেছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় ১৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল আছে তিনটি।