ফেরান তোরেসের জার্সিতে বার্সেলোনার লোগো কোথায়
১৮ বছর পর গত রাতে ইউরোপা লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। মাত্রই ম্যানচেস্টার সিটি থেকে দলে আসা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেরান তোরেস উপলক্ষ্যকে একদম নিজের করে নিতে চেয়েছিলেন হয়তো। নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সা। দলের হয়ে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটা এসেছে ফেরানের পা থেকেই। তবে সেটি নিয়ে বাহ্বা যেমন পাচ্ছেন, বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তাঁর সমালোচনাও কম হচ্ছে না।
আর হবে নাই–বা কেন? অন্তত সাতটা শট পোস্ট বরাবর মারতে পারেননি তিনি। গোল করার অনেকগুলো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
ফলে বার্সাকেও ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ম্যাচ শেষে ফেরানের কান্না সেই ব্যর্থতারই আক্ষেপ। তবে ম্যাচের মধ্যে ফেরানকে নিয়ে আরেকটা ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে বেশ। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর জার্সিতে যে বার্সেলোনার লোগোই ছিল না!
অবিশ্বাস্য হলেও এটিই সত্যি। লোগোবিহীন এক জার্সি পরেই খেলতে নেমে গিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। শুধু বার্সেলোনারই নয়, মূল পৃষ্ঠপোষক নাইকিরও লোগো অনুপস্থিত ছিল তাঁর জার্সিতে। কেবল ছিল ইউরোপা লিগের লোগোটা, তা–ও তাঁর বাহুতে। অর্থাৎ ফেরানের জার্সির সামনের দিকে এক ‘রাকুতেন’-এর লোগো ছাড়া কিছুই ছিল না! ফলে ৫৯ মিনিটে ফেরান যখন পেনাল্টি থেকে গোল করলেন, জার্সির যেখানে লোগো থাকে, সেখানে চুমু খেতে গিয়ে দেখেন, লোগোই নেই!
স্বাভাবিকভাবেই বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের যিনি ম্যাচের আগে জার্সি সরবরাহ করেন, সে ‘কিটম্যান’-এর দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই বার্সেলোনার অন্যান্য খেলোয়াড়ের পাশে ফেরানের জার্সিটাকে নকল বলে মনে হচ্ছিল। বার্সেলোনা থেকে এই ভুলের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএসের সাংবাদিক হাভি মিগেল জানিয়েছেন, ছাপার ভুলের কারণেই এমন অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সহজ সুযোগগুলোকে গোলে পরিণত না করার কষ্ট ছিল তোরেসের। ম্যাচ শেষে কান্না যেন বাঁধ মানছিল না তাঁর। বার্সার বিকল্প গোলকিপার আরনাউ তেনাস আর মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতস পরে ফেরানকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।
যদিও ফেরানের ফর্ম নিয়ে কোচ জাভি চিন্তিত নন, ‘লুইস সুয়ারেজেরও একই সমস্যা হয়েছিল। প্রথম প্রথম গোল পেত না। আসলে বার্সেলোনার জার্সির ওজনটাই অনেক বেশি। আমি ফেরানকে দলে পেয়ে অনেক সন্তুষ্ট।’