ফুটবলে আর কিছুই জেতা বাকি নেই তাঁর
গতকাল আর্সেনালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জিতেছে চেলসি। দলের হয়ে একটি গোল করেছেন স্প্যানিশ উইঙ্গার পেদ্রো। ইউরোপা লিগ জিতে অনন্য এক রেকর্ড করে ফেলেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ও ক্লাব পর্যায় মিলিয়ে স্প্যানিশ উইঙ্গার পেদ্রো খেলেছেন তিন দলের হয়ে। স্পেন, বার্সেলোনা ও চেলসি। এই তিন দলের হয়ে খেলে একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে যা যা জেতা সম্ভব সবকিছুই জেতা হয়ে গিয়েছিল পেদ্রোর, শুধু একটা ট্রফি ছাড়া। ইউরোপা লিগ। কাল আর্সেনালকে ইউরোপা লিগের ফাইনালে হারিয়ে সে অপূর্ণতাটাও ঘুচিয়ে ফেললেন তিনি।
স্পেনের হয়ে একবার বিশ্বকাপ আর একবার ইউরো জেতা হয়ে গিয়েছিল ২০১২ সালের মধ্যেই। স্পেনের বিশ্বজয়ী দলের অন্যতম অংশ ছিলেন পেদ্রো। শুধু স্পেনই নয়, তখন বার্সেলোনার আক্রমণভাগের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন। বার্সেলোনার প্রখ্যাত ‘লা মাসিয়া’ একাডেমি থেকে উঠে এসে মূল একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন পেদ্রো। খেলেছেন লিওনেল মেসি, ডেভিড ভিয়া, থিয়েরি অঁরি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, কার্লোস পুয়োলদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে। বার্সেলোনায় থাকতে থাকতে লিগ জিতেছিলেন পাঁচবার, কোপা দেল রে জিতেছিলেন তিনবার, চারবার সুপারকোপা। ইউরোপীয় পর্যায়ে জিতেছিলেন তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি উয়েফা সুপার কাপ। পরে আস্তে আস্তে বার্সেলোনায় ব্রাত্য হয়ে পড়েন পেদ্রো। নাম লেখান চেলসিতে।
চেলসিতে এসেও ট্রফি জয়ের ধারা থামেনি পেদ্রোর। ইংলিশ লিগ জিতেছেন, জিতেছেন এফএ কাপ। ইউরোপীয় পর্যায়ে বাকি ছিল শুধু ইউরোপা লিগ জেতা। কাল সেটাও হয়ে গেল পেদ্রোর। একই সঙ্গে তিনি নাম লিখিয়েছেন অনন্য আরেকটি রেকর্ডে। ক্যারিয়ারে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের ফাইনালে গোল করা খেলোয়াড়দের ছোট্ট তালিকায় নিজের স্থান নিশ্চিত করেছেন গতকাল। আগে এই কৃতিত্ব ছিল শুধু লিভারপুলের ইংলিশ মিডফিল্ডার স্টিভেন জেরার্ড, সাবেক ড্যানিশ তারকা অ্যালান সিমোনসেন, আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হারনান ক্রেসপো ও রাশিয়ান তারকা দিমিত্রি আলেনিচেভের। কাল গোল করে এই তালিকায় ঢুকেছেন পেদ্রো।
ক্যারিয়ারে আর কোনো অতৃপ্তি নেই, এমনটা যদি পেদ্রো কখনো দাবি করেন, আশ্চর্য হবেন না যেন।