ফাতির জন্য ১৫ কোটি ইউরো কম মনে হয়েছে বার্সার
আনসু ফাতিকে তাহলে লিওনেল মেসির পথেই হাঁটাতে চায় বার্সেলোনা?
মাঠের খেলায় ফাতি কখনো মেসির মতো হতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে। অমিত প্রতিভা এবং তা মাঠেও অনূদিত হতে থাকায় বার্সা তো স্বপ্ন দেখছে। বার্সার ফুটবলার খামার ‘লা মাসিয়া’র এই ‘বিস্ময় বালকে’র জন্য গত জুলাই থেকে ছুটছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ‘মার্কা’ জানিয়েছে ফাতির এজেন্ট জর্জি মেন্দেজ বার্সাকে জানিয়েছেন, তাঁর খেলোয়াড়ের জন্য একটি ক্লাবের কাছ থেকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব এসেছে। আর সেই ক্লাবটি যে ইউনাইটেড তাও প্রকাশ হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। দলবদলের এককালীন ১২৫ মিলিয়ন (১২ কোটি ৫০ লাখ) ইউরো এবং তার সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে আরও ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো খরচায় ফাতিকে কিনতে চায় ইউনাইটেড। বার্সা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়েছে কাতালুনিয়া রেডিও।
কাতালান ক্লাবটির প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার কারণ আছে। ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গারকে সম্প্রতি বার্সার মূল দলে অন্তর্ভুক্ত করেছেন কোচ রোনাল্ড কোমান। আর্তুরো ভিদালের ২২ নম্বর জার্সিটা এখন তাঁর গায়ে। সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল, ফাতি বার্সার মূল দলে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাইআউট ক্লজ মূল্য বেড়ে দাঁড়াবে ৪০ কোটি ইউরো। ২০২২ সালে তাঁর সঙ্গে বার্সার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে। তবে মূল দলে ডাক পেলেও তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পারছে না বার্সা। এর কারণ ফাতির বয়স। আগামী মাসের ৩১ তারিখে ১৮ বছরে পা রাখবেন ফাতি। তার আগে এক মেয়াদে দুই বছরের বেশি চুক্তি করতে পারবেন না ফাতি। আগের চুক্তিতে ফাতির বাইআউট ক্লজ ছিল ১৭ কোটি মিলিয়ন ইউরো।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ কারণে ফাতির বয়স ১৮ বছর ছোঁয়ার পর তাঁর সঙ্গে নতুন চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছে বার্সা। তখন মৌসুম প্রতি তাঁর পারিশ্রমিক হতে পারে ১০ মিলিয়ন ইউরো। আর এই সময়টুকু এভাবে কাটিয়ে ফাতি ১৮ ছোঁয়ার পর তাঁর বাই আউট ক্লজ ৪০০ মিলিয়ন ইউরো থেকে একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যেতে চায় বার্সেলোনা। কারণ, নেইমারের বাইআউট ক্লজ ২২২ ইউরো থাকার পরও ২০১৭ সালে তাঁকে টেনে নিয়েছিল পিএসজি। ২০২২ সাল নাগাদ অর্থে বলীয়ান কোনো দলের পক্ষে আনসু ফাতির জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করাও সম্ভব হয়ে ওঠার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বার্সেলোনা সে ঝুঁকি নিতেও চায় না।
আর ফাতিকে যদি বিক্রি করতেও চায় বার্সেলোনা, সে ক্ষেত্রে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের পর দর-কষাকষিতেও সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে কাতালান ক্লাবটি। অন্তত ইউনাইটেড বা অন্য দলগুলোকে তখন আরও দাম বাড়াতে হবে। ক্লাব এবং খেলোয়াড়ের মধ্যে এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। আগামী বছর সভাপতি নির্বাচনের আগে সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।