পেলেকে রেকর্ড বইয়ে নিলেন ‘কিশোর পেলে’
বয়স হয়ে গেছে ৮১ বছর। এ বয়সে এমনিতেই কেউ খুব একটা ঘরের বাইরে যান না। ফুটবলসম্রাট পেলেকে তো আবার এ বয়সে পেয়েছে সর্বনাশা কর্কট রোগে। বাড়ি, হাসপাতাল, আবার বাড়ি—অনেক দিন থেকেই এটা করতে হচ্ছে ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারকে। সব মিলিয়ে একা একা আর চলাচল করতে পারেন না এই কিংবদন্তি। কোথাও যেতে হলে তাঁকে নিতে হয় হুইলচেয়ারের সাহায্য। হুইলচেয়ার থেকে নামতে–উঠতে সাহায্য নিতে হয় অন্য কারও।
পেলে হুইলচেয়ার নিয়েও খুব একটা বাইরে যান না। দিনরাত বাড়িতেই কাটে তাঁর। এভাবে ঘরে শুয়ে–বসে থেকেও একটি বিশ্ব রেকর্ড করেছেন পেলে। তবে রেকর্ডটা বুড়ো বয়সের পেলের নয়, প্রায় ৪৫ বছর আগে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া কিংবদন্তিকে আসলে বুড়ো বয়সে রেকর্ডটা এনে দিয়েছেন কিশোর বয়সের পেলে! ১৯৫৮ সালে ১৭ বছর বয়সী পেলে প্রথম রুকি কার্ড (নিজের খেলায় প্রথম পেশাদার হওয়ার লাইসেন্স) পান। সেই কার্ড সম্প্রতি নিলামে তুলেছে গোল্ডইন নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
কিংবদন্তি পেলের সেই রুকি কার্ড বিক্রি হয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। নিলামে এর আগে কোনো রুকি কার্ডের মূল্য ১০ লাখ ওঠেনি। সান্তোসে খেলার সময় ১৯৫৮ সালে রুকি কার্ড পাওয়া পেলে সে বছরই খেলেছেন বিশ্বকাপে। ব্রাজিলের শিরোপা জয়ে ৬ গোলের অবদান রাখা ১৭ বছরের পেলে সেই বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন।