পেরুর লাগল ৪০ বছর
>অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পেরু। ১৮ মিনিটে পেরুকে এগিয়ে নেন আন্দ্রে কারিয়ো। ৫০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলেন পাওলো গেরেরো
কারিয়ো-গেরেরোদের একেকটা গোলে তারা উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে ওঠে আর বেয়ে নেমে আসে অশ্রুর ধারা। পেরুর দর্শকেরা কতটা আবেগী, সোচির গ্যালারিতে সেটিই দেখা গেল আজ। অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বলেই নয়, ১৯৭৮ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার জয় পেল পেরু। অস্ট্রেলিয়া-পেরু দুই দলেরই রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ। তবে পেরুর সান্ত্বনা, রাশিয়া থেকে অন্তত একটা জয়ের স্মৃতি নিয়ে যেতে পারছে তারা।
দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার কোনো হিসাব-নিকাশ ছিল না দুই দলের। চাপমুক্ত হয়ে খেলার এমন সুযোগ সব সময় মেলে না। সুযোগটা যতটা পেরু কাজে লাগাতে পেরেছে, অস্ট্রেলিয়া নয়। হাতে গোনা যে কটি সুযোগ পেয়েছে, বেশির ভাগই কাজে লাগিয়েছে পেরু। ১৮ মিনিটে বক্সে গেরেরোর ক্রসটা দুর্দান্ত এক ভলিতে জালে জড়িয়ে দিলেন কারিয়ো। ৫০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার বক্সে শট নিলেন ক্রিস্টিয়ান কেভা। কাজ হয়নি, শেষমেশ লক্ষ্যভেদ করলেন গেরেরো। ২-০ এগিয়ে থাকা পেরুকে আর ধরতে পারেনি সকারুরা।
অস্ট্রেলিয়া গোল শোধ করবে কী, আক্রমণটাই তো ঠিকমতো করতে পারেনি। লক্ষ্যেই তারা শট নিতে পেরেছে মাত্র দুটি। পেরু সেখানে তিনটির দুটিতেই গোল পেয়েছে। একটা সময়ই দুই দলই অহেতুক ফাউলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, শাস্তি হিসেবে পেয়েছে চারটি হলুদ কার্ড। পেরুর (৩) চেয়ে অস্ট্রেলিয়া কর্নারও বেশি পেয়েছে। ৮ কর্নারের কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এলোমেলো ফুটবল খেলে কি আর গোলের দেখা পাওয়া যায়?
বিশ্বকাপ থেকে প্রায় শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। পেরুর প্রাপ্তি একেবারে কম নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দীর্ঘদিনের গেরোটা তারা খুলতে পেরেছে। ৪০ বছর পর বিশ্বকাপে পেয়েছে জয়ের দেখা।