পুতিনকে 'ক্ষমতা' দেখাতে গিয়ে জেলে যাচ্ছেন তাঁরা
>ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে হঠাৎ মাঠে ঢুকে পড়েন চার দর্শক। হঠাৎ মাঠে ঢুকে পড়ার শাস্তিও পেয়েছেন তাঁরা
খেলার মাঠে আকস্মিক দর্শক ঢুকে পড়ার দৃশ্যটা একেবারে নতুন নয়। তাই বলে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গলে মাঠে ঢুকে পড়বে দর্শক! গত রোববার রাতে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পুলিশের পোশাকে হঠাৎ মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন চার দর্শক। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের বিঘ্ন ঘটিয়ে পার পাওয়া যাবে না, কড়া শাস্তিই পেতে হচ্ছে তাঁদের। ফুটবল মাঠে নিষেধাজ্ঞাসহ তাঁদের যেতে হচ্ছে জেলেও।
ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে পুলিশের পোশাকে মাঠে ঠুকে পড়েছিলেন চারজন। এমন পরিস্থিতিতে হকচকিত দুই দলের খেলোয়াড়েরাও। রেফারি ইঙ্গিত করলেন খেলা থামানোর। এক তরুণী এমবাপ্পের কাছে গিয়ে হাতও মিলিয়ে ফেললেন। নিরাপত্তারক্ষীরা পেছন পেছন ছুটে জাপটে ধরলেন সাদা শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরা ওই তরুণীকে। টেনেহিঁচড়ে পাঁজাকোল করে তিন-চারজন মিলে বের করে আনলেন মাঠ থেকে।
অন্যদিকে এক পুরুষ দর্শক ছুটে গেলেন ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার লভরেনের কাছে। ক্রোয়েট ডিফেন্ডারের তো মেজাজই গেল খিঁচড়ে। একাই কলার ধরে মাঠে অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়ার চেষ্টাও করলেন লভরেন। অতঃপর নিরাপত্তারক্ষীরা একইভাবে পুরুষ দর্শককেও চ্যাংদোলা করে বের করে আনলেন মাঠ থেকে।
জানা গেছে চারজনের পরিচয়। হুট করে মাঠে ঢুকে পড়া তিন নারী হলেন ভেরুনিকা নিকুলশিনা, অলগা পাখতুসোভা ও অলগা কুরাসোভা। একমাত্র পুরুষ দর্শক পিতর ভেরজিলভ। তাঁরা সবাই পুতিনবিরোধী ‘পুশি রায়ট’ দলের সদস্য। চার দর্শক যখন মাঠে ঢুকে পড়েছেন, সেটি মাঠে বসে নিশ্চয়ই দেখেছেন পুতিন। রাশিয়া প্রেসিডেন্টের সামনে কিনা বিরোধী সমর্থকেরা ‘ক্ষমতা’ দেখাচ্ছেন! এভাবে মাঠে ঢুকে পড়ার শাস্তিও পেয়েছেন চার দর্শক। ১৫ দিনের জেল ও আগামী তিন বছর রাশিয়ার কোনো খেলা মাঠে বসে দেখা হবে না তাঁদের। চারজনের একজন কুরাসোভা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বাক্স্বাধীনতার পক্ষে বার্তা আর ফিফার নীতিকে নিন্দা জ্ঞাপন করা।