পিয়ানিচ-জেকোর জাতীয় দল সতীর্থ বাংলাদেশের লিগে
বসুন্ধরা কিংস মানেই চমক। তিন বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেসকে দলে ভিড়িয়ে প্রথমবারের মতো বড় চমক দেখিয়েছিল তারা। সে চমক থাকতে থাকতেই উড়িয়ে এনেছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে খেলা স্ট্রাইকার হার্নান বার্কোসকে। দুজনই এখন অতীত। তাঁদের স্মৃতি এখনো মিলিয়ে যায়নি। নতুন মৌসুমে বসনিয়া জাতীয় দলে খেলা আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার স্তোয়ান ভ্রানিয়েসকে নিয়ে এসেছে বসুন্ধরা।
গতকাল ঢাকায় এসেছেন ৩৫ বছর বয়সী ভ্রানিয়েস। আজ ক্লাব অফিসে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে। ২০০৯ সালে বসনিয়া জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর ৩টি ম্যাচ খেলেছেন ভ্রানিয়েস। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলেছেন উজবেকিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোর বিপক্ষে।
সে ম্যাচগুলোতে মাঠে সঙ্গী পেয়েছিলেন জুভেন্টাস ও বার্সেলোনায় খেলা মিরালেম পিয়ানিচ, ম্যানচেস্টার সিটি, রোমা ও ইন্টার মিলানে খেলা এডেন জেকো ও চেলসির সাবেক গোলরক্ষক আজমির বেগোভিচের সঙ্গে। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে ইউরোপিয়ান কোনো দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের বাংলাদেশের লিগে আসার ঘটনা বিরল।
ভ্রানিয়েস প্রথাগত মিডফিল্ডার হলেও ভ্রানিয়েসকে মূলত রাউল বেসেরার জায়গায় স্ট্রাইকার হিসেবে খেলানোর চিন্তা নিয়েই দলে টেনেছে বসুন্ধরা। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্রানিয়েসকে দলে টানার কথা জানিয়েছে বসুন্ধরা, ‘আমাদের দলের আক্রমণ সামলাতে স্তোয়ান ভ্রানিয়েস, বসনিয়ান বাজুকা এখন এখানে। বসনিয়ার অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ ও জাতীয় দলে খেলা স্তোয়ান তাঁর বিদ্যুৎ গতির জন্য বিখ্যাত।’
সর্বশেষ মৌসুমে বসনিয়ার প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব বোরাক বানজা লোকার হয়ে খেলে ১৫ ম্যাচ ভ্রানিয়েস করেছেন ১০ গোল। দলটির অধিনায়কও ছিলেন এই মিডফিল্ডার।
ইউরোপা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলেছেন। এই তো গত জুলাইয়ে রোমানিয়ার ক্লাব সিএফ আর ক্লুজের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচে করেছিলেন প্রথম গোলটি।
তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতভাবেই বসুন্ধরার শক্তি বাড়াবে। দলটির বাকি তিন বিদেশি গত মৌসুমে খেলা ইরানি ডিফেন্ডার খালিদ শাফেই এবং ব্রাজিলের দুই মিডফিল্ডার রবসন ডি সিলভা ও জোনাথন ফার্নান্দেজ। চলতি মাসের ২৭ তারিখে স্বাধীনতা কাপ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে নতুন মৌসুম।