পরের ছেলেদের টানায় ঘরের ছেলেদের খেলাতে পারবে না বার্সেলোনা
জানুয়ারির দলবদলে ভালোই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বার্সেলোনা। আগেই দলবদল নিশ্চিত হওয়া দানি আলভেজ ও ফেরান তোরেসকে চুক্তিবদ্ধ করেছে বার্সেলোনা। চুক্তি নবায়ন করতে না চাওয়া উসমান দেম্বেলেকে অন্য কোনো ক্লাবের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে। আর সে সঙ্গে দলবদলের বাজার শেষ হওয়ার তিন দিন আগে ক্লাবের একাডেমির সাবেক খেলোয়াড় আদামা ত্রায়োরেকে ধারে ফিরিয়ে এনেছে।
কোচ জাভির ইচ্ছাপূরণ করতে এখন একজন স্ট্রাইকার আনার চেষ্টা করছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতাকে প্রথম পছন্দ জাভির। আর তাঁকে না পেলে আর্সেনাল থেকে পিয়েরে অবামেয়াংকে পাওয়ার ইচ্ছা বার্সেলোনা কোচের।
তবে দলবদলের বাজারে বার্সেলোনার এত ব্যস্ততা ক্লাবের তরুণদের কপাল পোড়াতে যাচ্ছে। ইউরোপা লিগে নাম নিবন্ধনে বাদ পড়ে যেতে পারেন বেশ কজন খেলোয়াড়।
চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে গেছে বার্সেলোনা। গ্রুপে তৃতীয় হওয়ায় খেলবে ইউরোপা লিগে। শেষ ষোলোর প্লে-অফে তারা ১৬ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে নাপোলির। সে ম্যাচের জন্য নিজেদের স্কোয়াড জানিয়ে দিতে হবে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তবে স্কোয়াডে খুব বেশি বদল আনার সুযোগ নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে যে স্কোয়াড পাঠিয়েছিল, সে দলে মাত্র তিনটি নাম যোগ করতে পারবে বার্সেলোনা।
উয়েফার প্রতিযোগিতার নিয়মে লেখা আছে, নকআউট পর্বে প্লে-অফে একটি ক্লাব টুর্নামেন্টের বাকি সময়ের জন্য সর্বোচ্চ তিনজন নতুন খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করাতে পারবে। এদিকে জানুয়ারিতে বার্সেলোনা এরই মধ্যে আলভেজ, তোরেস ও ত্রায়োরেকে নিয়ে ফেলেছে। স্ট্রাইকার হিসেবে মোরাতা বা অবামেয়াংকেও চাইছে। লেফটব্যাক হিসেবে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর দিকেও নজর বার্সার।
এখন এ দুজনকে যদি নিয়ে আসতে পারে ক্লাব, সে ক্ষেত্রে ইউরোপা লিগের দল নির্বাচন নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়বেন জাভি। নতুন পাঁচজনের মধ্যে মাত্র তিনজনকে ইউরোপায় খেলানো যাবে। এদিকে ঘরোয়া ফুটবলে জাভি যোগ দেওয়ার পর একাদশে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে একাডেমির ফেরান জাগলা ও আবদে এজ্জালজুলিকে। দলবদলে এত খেলোয়াড় কেনায় ইউরোপা লিগে এ দুই তরুণের তাই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য।
সাধারণত একাডেমির খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করানোর প্রয়োজন হয় না। ম্যাচের এক দিন আগে জানালেই চলে। কিন্তু জাগলা ও আবদে—দুজনই বার্সা একাডেমিতে এসেছেন অন্য ক্লাব থেকে। উয়েফার নিয়মানুযায়ী, একাডেমির খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হওয়ার আগে একজন খেলোয়াড়কে যতটা সময় একাডেমিতে থাকতে হয়, সে সময়টা পার করেননি দুজনের কেউই।