খেলা ততক্ষণে শেষ! প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়লে ম্যাচের আর বাকি কিছু থাকে না বললেই চলে। তবু ক্ষতি পোষানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে পাঠানো হলো পল পগবাকে। ফরাসি এই মিডফিল্ডার কোথায় দলকে উপকার করবেন! উল্টো ৫-০ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ৬০ মিনিটে জোড়া পায়ে ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখে দলকে ডোবালেন আরও।
লিভারপুলের বিপক্ষে রোববার গোলের ব্যবধান আর বাড়েনি, কিন্তু ৫-০ গোলের সে হারের পর পগবার নিবেদন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কিংবদন্তি মিডফিল্ডার পল স্কোলস।
ইংলিশ মিডফিল্ডার স্কোলসের ক্যারিয়ারটাই ইউনাইটেডের সঙ্গে মোড়ানো। ১৯৯৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে আলো ছড়িয়েছেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নেমে কত ম্যাচেই তো সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে ঘরের মাঠে ৫-০ গোলের হারটা মানতে পারছেন না এই ইংলিশ। পল পগবার ওপর খেপেছেন। তাঁর মতে, ইউনাইটেডের জার্সিতে ভবিষ্যতে পগবার খেলা আর না খেলা একই কথা।
ইউনাইটেড ও লিভারপুল ম্যাচ নিয়ে আলাপকালে স্কোলস বলেন, ‘পল পগবার মধ্যাহ্নবিরতিতে মাঠে নেমে দলকে সাহায্য করার কথা ছিল। বলের দখল বাড়িয়ে সম্মানজনক অবস্থায় নেবে দলকে। চেষ্টা করবে মাঝমাঠে সে কতটা শক্তিশালী, সেটা দেখানোর। গোলের কথা দূরে সরিয়ে রাখুন। আপনি হাস্যকর এক ট্যাকল করে মাঠের বাইরে চলে গেলেন। ৫-০ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ১০ খেলোয়াড় হয়ে যাওয়া। আপনাকে ভাবতে হবে, উলে যদি সেখানে ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকেন, ইউনাইটেডের জার্সিতে পগবাকে কি আবার দেখা যাবে?’
২০১৬ সালে ১০ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছিলেন পগবা। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে তাঁকে দলে আনা, সেটা আর পাওয়া হয়নি ইউনাইটেডের। বরং মাঠের বাইরের ঘটনাতেই বেশি আলোচিত হয়েছেন পগবা। স্কোলস সে সম্পর্কে বলেন, ‘গত কয়েক বছরে সে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। সবাই জানে সে কতটা মেধাবী। সবাই তাকে বিশ্বাস করে, সব ম্যানেজার তার ওপর আস্থা রাখে। সবকিছু সত্ত্বেও চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে ক্লাবকে ঝুলিয়ে রাখছে। এটা উলের দোষ নয়। আমাকে ভুল বুঝবেন না। কিন্তু ওই ব্যাপারগুলোই ইউনাইটেডের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে।’
ইউনাইটেডের জার্সিতে পগবার ভবিষ্যৎ নিয়ে সরব স্কোলস, ‘দেখুন, সে সম্ভবত আবার খেলবে, তাই না? তবে আমি মনে করি, সে যদি আর কখনো না–ও খেলে, তাতে দলের কিছু আসে–যাবে না। তার অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সে বলেই চলছে, তার ধারাবাহিকতার অভাব আছে। কিন্তু সে যা করেছে, এটা তা শৃঙ্খলার অভাব এবং তার সতীর্থ ও কোচের প্রতি অসম্মান।’