নয় বছর বয়সেই নাইকি!

বাবা ও ছেলে
বাবা ও ছেলে

নামের শেষ অংশ ক্লাইভার্ট, এটুকুই সম্ভবত বিশ্ব ফুটবলে তাকে পরিচিত করার জন্য যথেষ্ট। তবে শেন ক্লাইভার্ট বাবার কারণে নয়, খবরের শিরোনাম হয়েছে নিজের কীর্তিতেই। ডাচ কিংবদন্তি প্যাট্রিক ক্লাইভার্টের মাত্র নয় বছরের ছেলের সঙ্গে এখনই চুক্তি করেছে নাইকি! ফুটবল তো বটেই, ইউরোপে আর কোনো খেলাতেও এত কম বয়সী কারও সঙ্গে আমেরিকান ক্রীড়াসামগ্রী নিমার্তা প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি করার রেকর্ড নেই।

অ্যাডিডাস-নাইকির মতো কোম্পানিগুলো তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সঙ্গে ‘ইয়াং অ্যাথলেটস ডিল’ করে। সাধারণত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সঙ্গেই এ ধরনের চুক্তি হয়। নয় বছর বয়সী কাউকে বিজ্ঞাপনের বাহন বানানোর অর্থ তো বোঝাই যাচ্ছে। শেন ক্লাইভার্টের মধ্যে নিশ্চয়ই দারুণ কিছু দেখেছে নাইকি।

বাবা প্যাট্রিক ক্লাইভার্ট বিখ্যাত হয়ে আছেন আয়াক্সের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নায়ক হিসেবে। ১৯৯৫ সালে এসি মিলানের বিপক্ষে ফাইনালে একমাত্র গোলটি করার সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮। আয়াক্স থেকেই যোগ দিয়েছিলেন এসি মিলানে। পরে খেলেছেন বার্সেলোনাতেও। হল্যান্ড জাতীয় দলে তো খেলেছেনই। প্যাট্রিকের বড় ছেলে ১৮ বছর বয়সী জাস্টিন ক্লাইভার্টও বাবার পথ ধরেই এগোচ্ছেন। আয়াক্সের যুব প্রকল্প হয়ে গত জানুয়ারিতে সুযোগ মিলেছে মূল দলে, গত মৌসুমে ইউরোপা লিগে রানার্সআপ হয়েছে জাস্টিনের আয়াক্স।

বাবা বা বড় ভাইয়ের মতো আয়াক্সে নয়, শেন খেলছে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজির যুবদলে। এই বয়সেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে বড় ‘সেলিব্রিটি’! নিজের খেলার ভিডিও শেয়ার করার জন্য একটা ইউটিউব অ্যাকাউন্ট আছে তার। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের অনুসারী ১ লাখ ২০ হাজার! নাইকির সঙ্গে চুক্তির খবরটাও ইনস্টাগ্রামেই দিয়েছে শেন, ‘নাইকির সঙ্গে প্রথম চুক্তি করতে পেরে অনেক গর্বিত।’ বাবা প্যাট্রিকেরও ছেলেকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই। ইনস্টাগ্রামে ছেলের সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘তোমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করি, বাবা!’ ডেইলি মেইল।