নেশনস লিগে কমলার সুবাস
>মাত্র চার মাস আগেই বিশ্বসেরার মুকুট পরেছিল ফ্রান্স। কিন্তু ইউরোপীয় নেশনস লিগে সেরা চার–এ আসতে পারেনি তারা। তাঁদের টপকে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে না থাকা নেদারল্যান্ডস।
জার্মানি তো অনেক আগেই ইউরোপিয়ান নেশনস লিগের হিসাব থেকে বাদ। ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ীরা উল্টো জঘন্য পারফর্ম করে নেশনস লিগের লিগ ‘বি’ তে নেমে গেছে। সেই জার্মানির বিপক্ষে কোন রকমে হার এড়াতে পারলেই সদ্য বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সকে টপকে নেশনস লিগের সেমিতে উঠে যেত নেদারল্যান্ডস। সেন্টারব্যাক ভার্জিল ফন ডাইকের অধিনায়কোচিত পারফরম্যান্সে ঠিক সেটিই করে দেখাল তারা। ফলে কপাল পুড়েছে ফ্রান্সের। সেমিতে তাদের সঙ্গী ইংল্যান্ড, পর্তুগাল আর সুইজারল্যান্ড।
এবারের নেশনস লিগে বলতে গেলে ভরাডুবি হয়েছে জার্মানির। একটা ম্যাচও জিততে পারেনি, ফলে গ্রুপে সবার তলানিতে থেকে লিগ ‘এ’ থেকে লিগ ‘বি’–তে নেমে গেছে তারা। সে কারণেই হয়তো কাল ভিন্ন কিছু করার তাড়না ছিল জোয়াকিম লোর শিষ্যদের। ম্যাচের ১৯ মিনিটে লাইপজিগের স্ট্রাইকার টিমো ভার্নার আর ম্যানচেস্টার সিটির উইঙ্গার লিরয় সানের গোলে ২–০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। ওজিল, বোয়েটাং, খেদিরাদের মতো বয়স্কদের বাদ দিয়ে জার্মানি খেলছিলও বেশ। হয়তো জার্মানের খেলা দেখে ফরাসিরাও সেমির ছক কাটা শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু ভার্জিল ফন ডাইক সেটি মানবেন কেন?
ডাচ অধিনায়ক সামনে থেকেই যেন দলকে সেমিতে তোলার দায়িত্ব নিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে পুনরুজ্জীবিত নেদারল্যান্ডসের কাছে বেশ ম্রিয়মাণ লেগেছে জার্মানিকে। আরেক সেন্টারব্যাক ম্যাথিস ডে লিটকে নিয়ে ফন ডাইক একে একে নস্যাৎ করে দিয়েছেন ভার্নার, সানে, ন্যাব্রি, মুলারদের সকল আক্রমণ। তবুও গোল যেন আসতেই চাচ্ছিল না। ৮৫ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর থেকে বিদ্যুৎগতির ক্ষিপ্রতা দেখিয়ে বাঁকানো শটে জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করেন ডাচ উইঙ্গার কুইন্সি প্রমেস। আর ম্যাচের শেষে টনি ভিলহেনার ক্রসে পা লাগিয়ে ডাচদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখেন ফন ডাইক।
সামনের জুনে পর্তুগালের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। ফন ডাইকের পুনরুজ্জীবিত নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ হিসেবে যেখানে অপেক্ষা করবে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল আর জের্দান শাকিরির সুইজারল্যান্ডের মধ্যে যেকোনো এক দল।