নিজেদের খেলোয়াড়েরাই 'ডোবালেন' ইউনাইটেডকে
>গত রাতে এফএ কাপের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। ফলে ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গেছে লন্ডনের ক্লাবটা
এই মৌসুমে তিনবার চেলসিকে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ম্যাচের আগেও ইউনাইটেড শিবিরে ছিল ইতিবাচকতা। কিন্তু ইউনাইটেডের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব আর বাড়াতে দেননি চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। মৌসুমে চতুর্থবারের চেষ্টায় ওলে গুনার সুলশারের দলকে হারিয়েছেন তিনি।
এফএ কাপের ফাইনালে ওঠার জন্য সেটাই যথেষ্ট ছিল চেলসির জন্য। তবে চেলসিকে ফাইনালে তোলার পেছনে ইউনাইটেডের নিজ খেলোয়াড়দেরও 'ভূমিকা'ও কম ছিল না। চেলসির প্রত্যেকটা গোল হওয়ার পেছনে সাহায্য করেছে ইউনাইটেড খেলোয়াড়দের কোনো না কোনো ভুল, এমনটা দাবি করা যেতেই পারে।
প্রথম গোলটার কথাই ধরুন। প্রথমার্ধের একদম শেষ মূহুর্তে ডানপ্রান্ত থেকে অধিনায়ক সেজার আজপিলিকুয়েতার ক্রস আসে স্ট্রাইকার ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরুর কাছে। ইউনাইটেডের স্প্যানিশ গোলরক্ষক ডেভিড ডে হেয়া যে অবস্থানে ছিলেন, চূড়ান্ত ফর্মে থাকলে হয়তো শটটা আটকে দিতে পারতেন। কিন্তু সতীর্থ ডিফেন্ডার ভিক্টর লিন্ডেলফের অবস্থান দেখে বিভ্রান্ত হয়ে ভুল করে বসেন গত এক দশকের অধিকাংশ সময় ধরে ইউনাইটেডের গোলবার সামলানো এই তারকা গোলরক্ষক। তাঁর হাতে লেগে নিচ দিয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে। ১-০ অগ্রগামিতা ধরে রেখে বিরতিতে যায় চেলসি।
দ্বিতীয়ার্ধেও দেখা যায় ওই একই ডে হেয়াকে। বিরতির ঠিক পর পর ইংলিশ মিডফিল্ডার মেসন মাউন্টের কাছ থেকে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার মাটিঘেঁষা এক শট ডে হেয়া আটকাতে পারবেন না, তা কখনো মনেই হয়নি। অথচ সেটাই হয়েছে। আবারও ডা হেয়ার হাতে লেগে জালে জড়িয়েছে বল। অপ্রত্যাশিত দুই গোল খেয়ে ইউনাইটেড তখন ব্যাকফুটে।
৭৪ মিনিটে অবশ্য ডে হেয়া নন, ভুল করার খাতায় নাম তোলেন দলের অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ার। বাঁ প্রান্ত থেকে ধেয়ে আসা স্প্যানিশ লেফটব্যাক মার্কোস আলোনসোর এক ক্রস আটকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে ঢুকিয়ে দেন ম্যাগুয়ার। ৮৬ মিনিটে ইংলিশ উইঙ্গার ক্যালাম হাডসন-অদয় ডি-বক্সে অন্যায়ভাবে ইউনাইটেডের ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় ম্যানচেস্টারের লাল দলটা। সেই পেনাল্টিতে গোল করে সান্ত্বনার গোল এনে দেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেস।
ফাইনালে লন্ডনের আরেক ক্লাব আর্সেনালের মুখোমুখি হবে চেলসি।