নতুন যুগের শুরুতেই হতাশা বার্সেলোনার
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে বার্সেলোনা। বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে অসহায়ভাবে হেরে যাওয়ার পর নবনিযুক্ত কোচ জাভি বলেছেন আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে সব। নতুন যুগের ডাক দিয়ে রেখেছেন জাভি। নতুন যুগের প্রথম দিনটা পরিকল্পনামাফিক কাটেনি তাঁর।
বার্সেলোনার আর্থিক দশা জাভিকে বাধ্য করছে তারুণ্যে আস্থা রাখতে। পুনর্গঠন প্রক্রিয়াটার শুরুটা সেই তরুণেরাই করেছেন। ওসাসুনার বিপক্ষে একাডেমির দুই তরুণ নিকো ও এজ আবদের গোলের পরও ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
দলের আক্রমণভাগের পরীক্ষিত মুখ কেউই নেই। মৌসুমের শুরু থেকে দলকে টানছিলেন মেম্ফিস ডিপাই। বায়ার্নের বিপক্ষে চোট পেয়েছেন ডাচ ফরোয়ার্ডও। আনসু ফাতি এখনো মাঠে নামার উপযুক্ত নন। ফলে আজ আরেক ডাচ লুক ডি ইয়ংকেই সামনে রেখেছেন জাভি। তাঁর দুপাশে উসমান দেম্বেলে ও এজ আবদে বা আবদে এজ্জালজুলি। তাদের পেছনে চার মিডফিল্ডার নিকো, গাভির সঙ্গে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং ও সের্হিও বুসকেতস। এঁদের পেছনে তিন সেন্টারব্যাক স্যামুয়েল উমতিতি, জেরার্দ পিকে ও রোনাল্ড আরাউহো।
পাসিং ফুটবলের সঙ্গে দুই উইং ব্যবহার করে খেলতে চেয়েছেন জাভি। পুরো ম্যাচেই এর ছাপ ছিল। উসমান দেম্বেলের গতির সঙ্গে তো সবাই আগ থেকেই পরিচিত। বাঁ প্রান্তে আজ এজ্জালজুলিও গতির ঝলকে চমকে দিয়েছে সবাইকে। তাঁর গতির সঙ্গে পেরেই উঠছিল না ওসাসুনা রক্ষণ।
বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছ অবশ্য অন্য দুই তরুণ একাডেমিতে দীর্ঘদিন এক সনজ্ঞে খেলার সুফলটা বুঝিয়ে দিয়েছেন গাভি ও নিকো। গাভির দুর্দান্ত এক পাস থেকে চমৎকার এক গোলে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছেন নিকো। অবশ্য দুই মিনিট পরই জাভির হাসি কেড়ে নিয়েছেন ডেভিড গার্সিয়া। হেড করে স্বাগতিক দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন এই ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধের বাকি সময়টা আক্রমণ আর পালটা আক্রমণেই কেটেছে। কোনো দল গোল পায়নি।
বিরতির পরই বার্সেলোনার আরেক তরুণের ঝলক। বার্সেলোনার ডি-বক্সে বুসকেতসের হাতে বল লেগেছিল। ওসাসুনা পেনাল্টির আবেদন শুরু করেছিল কিন্তু প্রতি আক্রমণে ওঠে বার্সেলোনা। দেম্বেলের ক্রস থেকে দারুণ এক গোলার বার্সেলোনায় জার্সিতে প্রথম গোল পেয়ে যান এজ্জালজুলি। এই শতাব্দীতে লা লিগার কোনো ম্যাচে এই প্রথম বার্সেলোনার দুজন গোল দিলেন যাদের বয়স ২০-এর কম।
৫৬ মিনিটে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারতেন দেম্বেলে। কিন্তু দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করে ও মূল কাজটা করতে পারেননি এই উইঙ্গার। ৮১ মিনিটে বার্সেলোনার দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দেম্বেলে। বার্সেলোনাও সময় নষ্ট করায় মনোযোগ দিয়েছিল। গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে-টের স্টেগেন সেটা করতে গিয়ে উল্টো হলুদ কার্ড দেখেছেন। কিন্তু এতেও লাভ হয়নি।
৮৭ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া চিমি আভিলার গোলা টের স্টেগেন জালে যাওয়া আটকাতে পারেননি। তবে গোলটি জালে যাওয়ার আগে মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা উমতিতির পায়ের স্পর্শ নিয়ে গেছে।