রোনালদোর যে রেকর্ড এখন মেসির

বিশ্বকাপ ও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদানের রেকর্ড এখন মেসির।ছবি: রয়টার্স

কে বলে লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে বড় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে জ্বলে উঠতে পারেন না?

আর্জেন্টিনাকে এখনো কিছু জেতাতে পারেননি সত্যি। ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর তাঁর ওপরই আর্জেন্টাইনরা সবচেয়ে বেশি ভরসায় বুক বেঁধেছিল বলে তাঁর প্রতিটি ব্যর্থতাই আর্জেন্টাইনদের আরও বেশি করে বুকে লাগে, সেটিও সত্যি। কিন্তু বিশ্বকাপ কিংবা কোপা আমেরিকার বড় মঞ্চে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু করতে পারেন না, এটাকে অন্তত রেকর্ড বই সত্যি বলে মানতে দেয় না মোটেও।

কিছু করতে পারেন কি না, সে প্রশ্ন অবশ্য অবান্তর হয়ে যাবে রেকর্ডটা দেখলে। বিশ্বকাপ আর মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, দুই বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট মিলিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি গোলে অবদানের রেকর্ড মেসির। পেরিয়ে গেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওকে।

অবশ্য মেসির এই নকআউট পর্বে গোলের প্রায় সবই এসেছে কোপা আমেরিকায়। এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ খেললেও নকআউট পর্বে ৮ ম্যাচে মাঠে নেমেও কোনো গোল করতে পারেননি মেসি, গোল করিয়েছেন শুধু তিনটি।

বাংলাদেশ সময় আজ সকালে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলের জয়ে ফ্রি কিক থেকে চোখধাঁধানো একটি গোল করেছেন মেসি, দলের বাকি দুই গোলও তিনিই করিয়েছেন রদ্রিগো দি পল ও লাওতারো মার্তিনেজকে দিয়ে। অর্থাৎ তিনটি গোলেই জড়িয়ে আছে মেসির নাম।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদোর সঙ্গে বড় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে গোলে অবদানের রেকর্ডের শীর্ষস্থান ভাগাভাগি করছিলেন মেসি। দুজনেরই গোলে অবদান ছিল ১৭টি।

ব্রাজিলকে ২০০২ বিশ্বকাপ জেতানো রোনালদো নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদানের রেকর্ডটা এতদিন দখলে রেখেছিলেন।
ফাইল ছবি

বড় টুর্নামেন্ট বলতে বিশ্বকাপ তো আছেই, এর পাশাপাশি ইউরোপের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ইউরো, দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে কোপা আমেরিকা, এশিয়ার খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এশিয়ান কাপের মতো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

সেখানে নকআউট পর্বে মেসি ২০ গোলে অবদান রেখে সবার ওপরে আছেন। এর মধ্যে তিনি গোল করেছেন ৫টি, করিয়েছেন ১৫টি। রোনালদো নাজারিওর ১৭ গোলে অবদানের মধ্যে তিনি গোল করেছেন ১৩টি, করিয়েছেন ৪টি।

পেলের সময়ে কোপা আমেরিকায় নকআউট পর্ব ছিল না।
ফাইল ছবি

এই দুজনের পর তালিকায় আছেন বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ ফরাসি ফরোয়ার্ড আঁতোয়ান গ্রিজমান, তাঁর গোলে অবদান ১৩টি (করেছেন ৮টি, করিয়েছেন ৫টি)। চারে সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা (১১), ৫ নম্বরে ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে (৯)। এখানে অবশ্য একটা ছোট্ট ফুটনোট হচ্ছে পেলের সময়ে কোপা আমেরিকায় কোনো নকআউট পর্ব ছিল না।

অবশ্য মেসির এই নকআউট পর্বে গোলের প্রায় সবই এসেছে কোপা আমেরিকায়। এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ খেললেও নকআউট পর্বে ৮ ম্যাচে মাঠে নেমেও কোনো গোল করতে পারেননি মেসি, গোল করিয়েছেন শুধু তিনটি। এর একটি ২০১৪ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আনহেল দি মারিয়াকে দিয়ে, আর দুটি ২০১৮ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ফ্রান্সের কাছে আর্জেন্টিনার ৪-৩ গোলে হারের ম্যাচে।

বিশ্বকাপ ও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান -