দেউলিয়া হয়েও পাত্তা দিচ্ছেন না সাবেক রিয়াল তারকা
২০০৭ সালে ডাচ ক্লাব ফেইনুর্দ থেকে প্রায় দেড় কোটি ইউরোর বিনিময়ে রিয়ালে এসেছিলেন ড্রেন্থে। তখন তাঁর বয়স ১৯। প্রচণ্ড গতি, পাশাপাশি স্কিল মিলিয়ে ভবিষ্যতের তারকাই ভাবা হচ্ছিল ডাচ উইঙ্গারকে।
ক্যাসিয়াস, রামোস, রোবেন, স্নাইডার, ক্যানাভারো, পেপে, রবিনিও, রাউলদের সতীর্থ ছিলেন সে সময়ে। মার্সেলোর সঙ্গে ঘুরেফিরে হয় লেফট মিডফিল্ডার হিসেবে কিংবা লেফটব্যাক হিসেবে খেলতেন ড্রেন্থে।
কিন্তু চোট ক্যারিয়ারে হানা দিয়েছে বারবার। সেটির পাশাপাশি আরেকটি বড় সমস্যাও ছিল, ফুটবলের বড় তারকা হিসেবে গড়ে তুলতে যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা লাগে, যে অধ্যবসায় লাগে, সেটি ড্রেন্থের ছিল কি না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকবার। উত্তরটা সম্ভবত ‘না’।
তেমন মানসিকতা ছিল না ড্রেন্থের। সে জন্যই শুরুতে এভারটন, এরপর রিডিং, শেফিল্ড ওয়েনেসডে হয়ে আরব আমিরাতের দল বানিয়াস...কোথাও থিতু হতে পারেননি। পরে ফুটবল ছেড়ে গানবাজনায় মনোযোগ দিয়েছিলেন কিছুদিন।
‘প্যারানোইয়া’ নামে একটা র্যাপ গান বের করেছিলেন। আস্তে আস্তে ফুটবলভক্তদের চোখের আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন এই তারকা। কিন্তু আবারও একটা ঘটনা আলোচনায় এনেছে তাঁকে। জানা গেছে, রিয়ালের সাবেক এই উইঙ্গার এখন দেউলিয়া।
নেদারল্যান্ডসের ব্রেদার এক আদালত তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছেন। এ অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য ড্রেন্থে এর মধ্যেই একজন উকিল নিয়োগ দিয়েছেন।
নিজের বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যা করতে ড্রেন্থে সহায়তা নিয়েছেন ডাচ পত্রিকা ভোয়েটবলজোনের।
সেখানে তাঁর কথা শুনে মনে হয়েছে, দেউলিয়া হওয়ার বিষয়টাকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না এই তারকা, ‘আমি সহজে চমকাই না। আমি ঠিক জানি না আমার অ্যাকাউন্টে টাকা কীভাবে আসে-যায়, আমি জানি না কী হচ্ছে না হচ্ছে। কিন্তু আসলেই যদি সেটা হয়ে থাকে (দেউলিয়া হয়ে যাওয়া) যা আমি শুনছি, তাহলে সেটাকে অত বেশি পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই।’
কিন্তু এ অবস্থা কেন হলো? ড্রেন্থে দোষ চাপিয়েছেন নিজের সাবেক হিসাবরক্ষকের ওপর, ‘আমার হিসাবরক্ষক ছুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল। যে কারণে একটা ভুল–বোঝাবুঝি হতে পারে। এ ছাড়া সর্বশেষ শুনানিতে আমি উপস্থিত ছিলাম না।’
তবে এত কিছু হওয়ার পরও নিজের পরিস্থিতির উন্নতি হবে, ড্রেন্থে এ ব্যাপারে আশাবাদী, 'আমি সব সময়েই আতশ কাচের তলায় থাকি। তবে আশা করি, এ ঝামেলা থেকে শিগগিরই মুক্তি পাব।'