দাবানল থেকে গ্রাম বাঁচানোর লড়াইয়ে ক্যাসিয়াস

রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসফাইল ছবি

ইকার ক্যাসিয়াসের গ্রাম—নাভালাক্রুজের বড় পরিচয় এটিই। স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের সেই গ্রাম এখন জ্বলছে। প্রচণ্ড দাবদাহে দাবানল শুরু হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে নাভালাক্রুজ ও আশপাশের গ্রামের ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি জায়গা পুড়ে গেছে আগুনে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের তথ্যমতে স্পেনের ইতিহাসের চতুর্থ বৃহত্তম দাবানলের ঘটনা এটি।

দাবানলের হাত থেকে গ্রামের বাকি অংশ বাঁচাতে আগুনের সঙ্গে লড়াই শুরু করেছেন নাভালাক্রুজের বাসিন্দারা। দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন গ্রামের সবচেয়ে বিখ্যাত ছেলে ক্যাসিয়াসও।

ফুটবল ক্যারিয়ারে গোল বাঁচানোই কাজ ছিল ক্যাসিয়াসের। সেই ক্যাসিয়াস আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে কাজে নেমেছেন নিজের গ্রামে। গ্লাভসের পরিবর্তে হাতে তুলে নিয়েছেন নিড়ানি আর পানিভর্তি বালতি। শুধু আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েই বসে থাকেননি ক্যাসিয়াস, নাভালাক্রুজের মানুষ কীভাবে আগুনের বিরুদ্ধে লড়ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন সেটিও। টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছেন ক্যাসিয়াস।

যে যেভাবে পারছি সাহায্য করছি। কেউ হয়তো এক বালতি পানি এনে দিচ্ছেন, কেউ স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিচ্ছেন, কেউ শুকনা খড়কুটো সরিয়ে রাখছেন।
ইকার ক্যাসিয়াস

৪০ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবলার ধন্যবাদ দিয়েছেন আগুন নেভাতে কাজ করা সবাইকে, ‘ভয় ও আতঙ্ক দূর করে আগুন নেভাতে একতাবদ্ধ হয়েছি আমরা। সাহসী সব মানুষ, তাঁরা জানেন কী করে আগুন নেভাতে হয়। আর আমাদের মতো যারা নিড়ানি ধরতেও জানি না, তাদের শিখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে এই কাজ করতে হবে।’

ক্যাসিয়াস লিখেছেন, আগুন নেভানোর কাজে যে যেভাবে পারে সেভাবেই সাহায্য করছে, ‘সবার মধ্যে উদ্দীপনা কাজ করছে। কারও খারাপ লাগছে না। যে যেভাবে পারছি সাহায্য করছি। কেউ হয়তো এক বালতি পানি এনে দিচ্ছেন, কেউ স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিচ্ছেন, কেউ শুকনা খড়কুটো সরিয়ে রাখছেন।’

দাবানল ঠেকানোর কাজে নেমে ক্যাসিয়াস বুঝেছেন, আগুন নেভানোর কাজ কতটা কঠিন। তাই আলাদাভাবে ধন্যবাদ দিয়েছেন অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের, ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যেসব কর্মী নিরলসভাবে আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের শুভরাত্রি জানাচ্ছি। দিন শেষ হয়ে এল, এবার আমি একটু বিশ্রাম নেব।’