দর্শককে লাথি মেরে ভিয়েরা ফেরালেন ২৭ বছর আগের স্মৃতি
২৭ বছর আগের স্মৃতি যেন ফিরে এল গত রাতে। ২৭ বছরে আগের ঘটনারও মূল কুশীলব ছিলেন একজন ফরাসি মিডফিল্ডার, এবারও তাই। সেবারও ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল ক্রিস্টাল প্যালেসের নাম, এবারের ঘটনাতেও আছে ক্রিস্টাল প্যালেসের সরব উপস্থিতি।
গত রাতে ইংলিশ লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের এভারটন আর প্যাট্রিক ভিয়েরার ক্রিস্টাল প্যালেস। প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার জন্য যে ম্যাচে জয়টা বড্ড দরকার ছিল এভারটনের। হারলেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যেত, অবনমিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই ইংলিশ ক্লাবটি। সেটা হয়নি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ গোলে জিতেছে এভারটন। কিন্তু সবচেয়ে চমক জাগানো ঘটনার জন্ম হয়েছে ম্যাচের শেষে।
অবনমন এড়ানোর আনন্দে নিজেদের মাঠে শত শত এভারটন-ভক্ত ঢুকে গিয়েছিল। আনন্দে উন্মাতাল এমনই এক দর্শক ক্রিস্টাল প্যালেসের কোচ, সাবেক ফরাসি মিডফিল্ডার প্যাট্রিক ভিয়েরাকে বিরক্ত করা শুরু করতেই বিপত্তি।
এমনিতেই দুই গোলের এগিয়ে থাকার পরেও ম্যাচ হেরে ভিয়েরার মেজাজ তিরিক্ষি ছিল, এভারটন ভক্তের বিদ্রুপ বেশীক্ষণ সহ্য করতে পারেননি আর্সেনালের সাবেক এই অধিনায়ক। উল্টো ঘুরে সেই দর্শককে লাথি মেরে বসেন ভিয়েরা! লাথি খেয়ে সেই দর্শকও মাঠে গড়াগড়ি দেওয়া শুরু করেন।
আর এই ঘটনাই যেন ফ্ল্যাশব্যাকে মনে করিয়ে দিল ২৭ বছর আগের এমনই এক ঘটনাকে। সেবার ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে খেলতে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্যালেসের ডিফেন্ডার রিচার্ড শ-কে লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেছিলেন ইউনাইটেডের ফরাসি মিডফিল্ডার এরিক ক্যান্টোনা।
লাল কার্ড দেখে এমনিতেই মেজাজ গরম হয়ে ছিল তাঁর, ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় এক প্যালেস-ভক্তের কারণে সে মেজাজ আরও সপ্তমে উঠে গেল। ম্যাথু সিমোন্স নামের সেই ভক্তের বিদ্রুপ নিতে পারেননি ক্যান্টোনা। 'কুং-ফু' স্টাইলে লাথি মেরেই ক্ষান্ত হননি, বেশ কয়েকটা কিল-ঘুষিও মেরেছিলেন সেই ভক্তকে। এই ঘটনার পর দীর্ঘ মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হয় ক্যান্টোনাকে, জাতীয় দলের হয়েও আর কখনও খেলতে পারেননি।
গত রাতের ঘটনায় লাথিটা কুং ফু স্টাইলে না মারলেও, ২৭ বছর আগের ক্যান্টোনার ওই ঘটনাকেই যেন ফিরিয়ে এনেছিলেন ভিয়েরা! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে ভিয়েরার এই কীর্তির ভিডিও। ম্যাচ শেষে ভিয়েরা অবশ্য এই ঘটনা নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। স্কাই স্পোর্টসকে জানিয়েছেন, ‘আমার এই ঘটনা নিয়ে কিছু বলার নেই।’
জয়ের পর এভারটনের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৩৯-এ। পয়েন্ট তালিকার ১৬তম স্থানে আছে তাঁরা। এভারটনের পেছনে থাকা বার্নলি আর লিডস, দুই দলেরই পয়েন্ট ৩৫ করে। অর্থাৎ লিগের শেষ ম্যাচে এভারটন যদি হেরেও যায়, ওদিকে বার্নলি বা লিডস যদি নিজেদের ম্যাচ জেতে, তাও অবনমনের শঙ্কা নেই ল্যাম্পার্ডের দলের।