দলবদলের তাজা খবর জানতে অনেকেই ঢুঁ মারেন ফাব্রিজিও রোমানোর টুইটারে। ইতালিয়ান এই ক্রীড়া সাংবাদিককে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ‘দলবদল বিশেষজ্ঞ’বললেও খুব একটা ভুল হবে না। এমন অনেকবারই ঘটেছে, রোমানো যে দলবদলের কথা আজ টুইট করেছেন, কয়েক দিন পর সেটাই সত্যি হয়েছে।
জাপানের সেন্টারব্যাক মায়া ইয়োশিদার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইতালি থেকে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। ইতালির ক্লাব সাম্পদোরিয়া ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন জার্মানির দল শালকেতে। সাউদাম্পটনের সাবেক ফুটবলারের এই দলবদলের বিষয়টি আগেই নিজের টুইটারে জানিয়েছিলেন রোমানো।
দলবদল হয়ে যাওয়ার পর এটি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইয়োশিদা। রোমানো টুইট করেছিলেন – ইয়োশিদা যে বিনা ট্রান্সফার ফিতে সাম্পদোরিয়া থেকে শালকেতে যাচ্ছেন, এটা একপ্রকার নিশ্চিত। একই সঙ্গে তিনি সেই টুইটে লিখেছেন, আরও কয়েকটি প্রস্তাব তাঁর কাছে আছে। সেই সব প্রস্তাবের মধ্যে তুরস্কের ক্লাব ত্রাবজোনস্পোরের প্রস্তাবও ছিল।
শালকেতে নাম লেখানোর পর ইয়োশিদা টুইট করেছেন, ‘লোকটা অসাধারণ...ত্রাবজোনস্পোরের কথা আমার স্ত্রীও জানত না!’ যে কথা নিজের স্ত্রীকে বলেননি, সেটা জেনে গেছেন রোমানো! ইয়োশিদার বিস্ময় তো হবেই।
তবে ইয়োশিদার এই বিস্ময় দেখে একটু যেন মজা করলেন রোমানো। রসিকতা করে তিনি আবার টুইট করেছেন। সেখানে রোমানো লিখেছেন, ‘মায়া, এমন প্রশংসার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ...তোমার স্ত্রীকে বলো (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) আমাকে ফলো করতে!’
কে জানে, এই ঘটনার পর ইয়োশিদার স্ত্রী তাঁর স্বামীর দলবদলের খবর জানতে হয়তো টুইটারে রোমানোকেই অনুসরণ করবেন! ইয়োশিদা তাঁর কাছে কোনো ক্লাবের প্রস্তাবের কথা গোপন করলেও রোমানো তো সেটা জানবেনই!
ইয়োশিদাকে অবশ্য শুভকামনা জানিয়ে রেখেছেন রোমানো, ‘এটাই আমাদের জীবন। তোমাকে ইতালিতে পাওয়াটা ছিল দারুণ এক ব্যাপার। এবার শালকেতে সময়টা উপভোগ করো।’