২৪ ঘন্টা আগে ম্যানচেস্টার সিটি আর রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ যতটা উত্তেজনা ছড়িয়েছে, এই ম্যাচ সে অর্থে ফুটবলপ্রেমীদের সে ক্ষুধা মেটাতে পারেনি। পারবে কীভাবে, ভিয়ারিয়াল যে পুরোটা সময়ই নিজেদের বক্সের সামনে বসে থেকে শুধু গোল ঠেকানোরই চেষ্টা করেছে! ৯০ মিনিটজুড়ে তাই ম্যাচটা হয়ে দাঁড়িয়েছে লিভারপুলের আক্রমণ বনাম ভিয়ারিয়ালের রক্ষণের লড়াই।
তাতে জয় লিভারপুলই, এবং সেটিও তিন মিনিটের ঝড়ে। তিন মিনিটে দুই গোলে অ্যানফিল্ডে আজ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। আগামী ৩ মে ভিয়ারিয়ালের মাঠে দ্বিতীয় লেগে যে আরও বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই নামা হচ্ছে না, এ-ই শেষ পর্যন্ত যা একটু আফসোস থাকতে পারে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের!
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৩ থেকে ৫৫ – তিন মিনিটে লিভারপুলের দুই গোলের পথে অবশ্য ভাগ্যেরও ছোঁয়া আছে। ৫৩ মিনিটে প্রথম গোলটিই যে আত্মঘাতী! ডানদিক থেকে লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রস ভিয়ারিয়ালের লেফটব্যাক এস্তুপিনিয়ানের পায়ে লেগে দিক বদলে যায়, গেছে তো গেছে জালের দিকেই! ক্রস আসবে ভেবে আগেই জায়গা ছেড়ে কিছুটা সরে যাওয়া ভিয়ারিয়ালের গোলকিপার রুলির পড়িমরি ঝাঁপিয়েও আর বলটা জালে যাওয়া ঠেকাতে পারলেন না।
এর আগ পর্যন্ত ভিয়ারিয়ালের জমাট রক্ষণের সামনে গোলের জন্য হাপিত্যেশ করে যাওয়া লিভারপুল দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে গেল দুই মিনিট পর। বক্সের ঠিক ওপরে সালাহ আর মানের দারুণ সমন্বয়ের ফল। সালাহ বল পেতেই বক্সের দিকে দৌড় শুরু করেন মানে, এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক গলে বুটের ডগার ছোঁয়ায় থ্রু বাড়ান সালাহ। বুটের ডগা ছুঁইয়েই গোল মানের।
গোলটি ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগে বাছাইপর্বসহ হিসেব মিলিয়ে লিভারপুলের ৪৫০তম। শেষ পর্যন্ত মাইলফলক হয়ে থাকা গোলটিই লিভারপুলকে দিয়েছে স্বস্তি।