তবে কি হাত দিয়ে গোল করে সেমিতে উঠল টটেনহাম?

হাতে লাগল? না কোমরে? ছবি : টুইটার
হাতে লাগল? না কোমরে? ছবি : টুইটার
>শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে গতকাল ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে উঠেছে টটেনহাম। তবে যে গোল টটেনহামকে পরের রাউন্ডে উঠতে সাহায্য করেছে, সে গোল ঘিরে উঠেছে বিতর্ক। বলা হচ্ছে, হাত দিয়ে গোল করে টটেনহামকে সেমিতে তুলেছেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে।

সেই ১৯৬১-৬২ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপের (এখনকার চ্যাম্পিয়নস লিগ) পর এবার প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে উঠল টটেনহাম। সাফল্যের এই মুকুটে কি একটু হলেও কালিমা লাগল? হাত দিয়ে গোল করে সেমিতে উঠেছে টটেনহাম, এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সর্বত্র।

ম্যাচের তখন ৭৩ মিনিট। ৪-২ গোলে পিছিয়ে টটেনহাম। ম্যাচের স্কোরলাইন এমন থাকলে সেমিতে উঠবে সিটি, আর কোনোভাবে টটেনহাম একটা গোল দিতে পারলে সিটিকে টপকে তারাই উঠে যাবে সেমিতে। এই অবস্থায় একটা কর্নার পেল টটেনহাম। ইংলিশ রাইটব্যাক কিয়েরান ট্রিপিয়েরের হাওয়ায় ভাসানো কর্নারটা কোনোভাবে গায়ে লাগিয়ে গোল করলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে। সিটির খেলোয়াড়েরা দাবি তুললেন, হাতে লেগে গোল হয়েছে। সে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভার) সহায়তা নিলেন মাঠের রেফারি কুনাইত কাকির। ভিডিও রিপ্লে যে কোণ থেকে দেখানো হলো, সে কোণ থেকে মনে হলো ইয়োরেন্তের কোমরে লেগে বল জালে জড়িয়েছে। সেই ফুটেজের ওপর ভিত্তি করেই কাকির টটেনহামকে গোল উপহার দিয়ে দিলেন। কিন্তু টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্য কোণ থেকে নেওয়া আরেকটি ফুটেজ ঘুরছে, যা দেখে মনে হচ্ছে, কোমরে নয়, আগে ইয়োরেন্তের হাতেই লেগেছিল বল। হাতে লেগে তারপর কোমরের স্পর্শ পেয়ে বল ঢুকেছে জালে। আর এই ফুটেজ দেখে সিটির ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা খেপেছেন প্রচণ্ড। ভিডিওটা দেখে নিন এখানে 

ম্যাচ শেষে গার্দিওলা নিজেই ভারের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ফুটবলে ভারের ভূমিকাকে সম্মান করি। কিন্তু আমার দিক থেকে মনে হয়েছিল, বলটা ইয়োরেন্তের কোমরে নয়, হতে লেগেছিল। হয়তো রেফারি অন্যদিক থেকে দেখেছেন।’

নতুন এই ভিডিও কিন্তু গার্দিওলার দাবিকেই সমর্থন করছে!