ঝগড়া করেছেন রামোস আর পেরেজ!
>আয়াক্সের কাছে নিজেদের মাঠে লজ্জাজনকভাবে হেরে গিয়ে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে প্রতিযোগিতাটির সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ হারের প্রভাব পড়েছে রিয়ালের ড্রেসিংরুমেও। সেখানে বাগ্বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়েছেন দলের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ আর অধিনায়ক সার্জিও রামোস!
প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ২-১ গোলে জিতে আসা দল পরের লেগে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে হেরে বসে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়বে, কে ভেবেছিল? তার ওপর ছিটকে পড়া দলটা দলটা যদি হয় টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ? রিয়াল নিজেও হয়তো ভাবেনি। ভাবেননি দলটির অধিনায়ক সার্জিও রামোস আর সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও। ফলে এভাবে আয়াক্সের কাছে হেরে গিয়ে মেজাজ হারিয়েছেন দুজনই।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, ম্যাচ হারের পর রিয়ালের ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন দলের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। স্বাভাবিকভাবেই, এমন হারের পর মেজাজ চড়ে ছিল তাঁর। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ার জন্য ড্রেসিংরুমে এসে খেলোয়াড়দের ঢালাওভাবে দোষারোপ করেছেন তিনি। খেলোয়াড়দের আত্মসম্মান নেই, দলের জন্য ত্যাগ করতে পারে না, গা-ছাড়া ভাবে খেলছে, সবটুকু নিংড়ে দিতে পারে না - খেলোয়াড়দের প্রতি পেরেজের অভিযোগের অন্ত ছিল না। এমতাবস্থায় খেলোয়াড়দের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হলো দলের অধিনায়ক সার্জিও রামোস। রিয়ালের এই অবস্থার পেছনে যে শুধু খেলোয়াড় নয়, পেরেজ-নিয়ন্ত্রিত বোর্ডও সমান ভাবে দায়ী, পেরেজের মুখের ওপর এই কথা বলে বসেন তিনি। রোনালদো যাওয়ার পর দলে একজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকার আনার দরকার ছিল, যেটা পেরেজ আনেননি। এই বলের পেরেজকে খোঁচা দেন রামোস। ফলে শুরু হয় দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে বিরক্ত পেরেজ রামোসকে ক্লাব থেকে বের কর দেওয়ার হুমকি দেন। রামোসও সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন, 'আমার বেতন বাড়াও, নাহয় আমারও আর এখানে থাকার ইচ্ছে নেই। গত বার বছর ধরে এই ব্যাজটার জন্য, এই ক্লাবটার জন্য, এমনকি কখনো কখনো তোমার (পেরেজ) জন্যও সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি মাঠে।'
রামোস-পেরেজের এই বাগ্বিতণ্ডার খবর প্রকাশ করেছে মাদ্রিদের দুই সংবাদমাধ্যম মার্কা ও এএস।