জিদানকে পিএসজিতে দেখতে চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
মরিসিও পচেত্তিনোর সঙ্গে এখনো সম্পর্ক ছেদ করেনি পিএসজি। তবে প্যারিসের ক্লাবটি তাঁকে যে আর রাখবে না, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। ইউরোপের সংবাদমাধ্যমের খবর, কোচের সন্ধান করছে মেসি–নেইমার–এমবাপ্পেদের দল। কোচ হিসেবে পিএসজির পছন্দের তালিকায় সবার ওপরে আছেন জিনেদিন জিদান।
কিন্তু প্যারিসের ক্লাবটির কোচ হওয়ার আগ্রহ নাকি তাঁর নেই। তবে পিএসজিতে ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জিদানকেই কোচ হিসেবে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ জিদানকে এরই মধ্যে প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি। কিন্তু দুই মেয়াদে (প্রথম মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০১৮ ও দ্বিতীয় মেয়াদ ২০১৯ থেকে ২০২১) রিয়ালের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি লা লিগা, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ ১১টি শিরোপা জেতা ফরাসি কোচ নাকি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
মাখোঁ সব খবরই জানেন। আর সেই জানা থেকেই নিজের একটা আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এমনিতে খেলোয়াড় জিদানের ভক্ত ছিলেন মাখোঁ। কোচ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদে জিদানের সাফল্যের কারণে তাঁর প্রতি আরও মুগ্ধ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
সব মিলিয়ে মাখোঁ বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে জিদানকে আমি অনেক পছন্দ করি। আমরা তাকে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নশিপে দেখতে চাই। তার মতো মেধাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড় ও কোচ, যে কিনা তিনটি বড় শিরোপা জিতেছে, এমন একজনকে আমাদের ক্লাবগুলোর জন্য চাইতেই পারি।’
এর আগে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে রিয়াল মাদ্রিদে না গিয়ে পিএসজিতে থেকে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন মাখোঁ। সে কথাও তিনি নিজেই বলেছেন। এবার জিদানকে পিএসজিতে পেতে চাওয়ার কথা বললেন তিনি। এমনিতে মার্শেইয়ের সমর্থক মাখোঁ পিএসজির জন্য এটা কেন করছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘আমি জিনেদিন জিদানের সঙ্গে কথা বলিনি। তবে আমি চাই, ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নশিপ ও ফ্রান্সে তার প্রভাবটা পড়ুক। সে এখানে এসে বড় একটি ক্লাবে কোচিং করাক।’
আমি জিনেদিন জিদানের সঙ্গে কথা বলিনি। তবে আমি চাই, ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নশিপ ও ফ্রান্সে তার প্রভাবটা পড়ুক। সে এখানে এসে বড় একটি ক্লাবে কোচিং করাক
মাখোঁ আরও বলেন, ‘এটা দারুণ এক ব্যাপার হবে। ফ্রান্স যে খেলা ও ফুটবলের জন্য অসাধারণ এক দেশ, সেটা দেখানো আমার কাজের অংশ। এখানে খেলার অনেক ভক্ত আছে। খেলার সেরা তারকারা এখানে থাকবে, এটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।’