ছেলের 'শত্রু'কে প্রেমিক করেছেন নেইমারের মা
নতুন প্রেমিক খুঁজে নেওয়ার জন্য মাকে শুভকামনা জানিয়েছেন নেইমার। কিন্তু তিনি যখন জানবেন মায়ের নতুন প্রেমিক তাঁর ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ দলের সমর্থক তখন কী হবে! অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ যুগে এসব বিষয় চাপা থাকে খুব কমই। মায়ের প্রেমিক বলেই হয়তো নেইমার জেনেবুঝেই শুভকামনা জানিয়েছেন, কে জানে!
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কথাটায় একটু খটকা লাগতে পারে। লিগ ওয়ানে নেইমারের দল পিএসজির এখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলে কিছু আছে না কি! মোনাকোই যা একটু বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ২২ বছর বয়সী থিয়াগো রামোস মোনাকোর সমর্থক নন। তাহলে?
বার্সেলোনা ছেড়ে নেইমার ২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগ দিলে্ও তাঁর মন পড়ে থাকে ক্যাম্প ন্যুতে। অন্তত গত তিন বছরে দলবদলের বাজারে এমন ঢেউই উঠেছে। প্রতি মৌসুমেই রব্ ওঠে এবার পিএসজি ছেড়ে নেইমার ফিরছেন বার্সায়। যদিও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি, কিন্তু নেইমারের হৃদয় তো চেয়ে থাকে বার্সার দিকেই, এর আগে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই। অবশ্য সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল, রিয়ালও না কি নেইমারকে দলে টানার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নেইমারকে ঘিরে বার্সাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
সে হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ এখনো নেইমারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। আর তাঁর চেয়ে ৬ বছরের ছোট মায়ের প্রেমিক রামোস রিয়াল মাদ্রিদেরই ভক্ত। অন্তত তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সে কথাই বলে। রিয়ালের প্রতি দুর্বলতা কখনো লুকাতে পারেননি রামোস। এই গেমার ও মডেল আগে ফুটবলারও ছিলেন। ব্রাজিলে খেলেছেন সিরি ’সি’-তে, স্পেনে সেগুন্দা বি।
রিয়ালের প্রতি নিজের দুর্বলতা গত বছর এই এপ্রিলেই (২১ এপ্রিল) প্রকাশ করেছিলেন রামোস। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্ন্যাবুতে নিজের একটি ছবি দিয়েছেন। ক্যাপশনে লেখেন, ’কালও এটা ছিল স্বপ্ন, আজ বাস্তব! এখানে আসার পর এটাই মনে হয়েছে। জীবন কী পাগলাটে আর এই জায়গাটা কী অবিশ্বাস্য! ভাবছি ঘরে সোফায় বসে চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের খেলা দেখেছি, কিন্তু আজ আমি সেই একই জায়গায়, যেখানে খেলে থাকেন আমার আদর্শরা। বিশ্বাস না হলেও জীবন এমনই, স্বপ্ন সত্যি হয়। শুধু বিশ্বাস করুন।’
এ ছাড়াও বার্ন্যবুর ডাগআউটে বসে থাকার একটি ছবি পোস্ট করেন রামোস। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘জিদান, আমাকে নিতে পার। ওহ্, আরেকটি অসাধারণ দিন।’
রামোসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা প্রকাশ করে এ সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন তোলেন নেইমারের মা নাদিন গঞ্জালভেস। ২০১৬ সালে নেইমারের সিনিয়রের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন তিনি। এরপর থেকে একাই ছিলেন। হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে রামোসের সঙ্গে একটি অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ‘ব্যাখ্যাতীত বিষয়কে কখনো বর্ণনা করা যায় না, যদি সেভাবে বাঁচ…।’ ১২ লাখ অনুসারীর কাছে এভাবেই নিজের নতুন জীবনের কথা জানান নেইমারের মা।
থিয়াগোও একই ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে ক্যাপশনে শুধু লিখেছেন, ‘ব্যাখ্যাতীত।’