২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে চুরির শিকার লিভারপুল মেয়রও

সেদিন লিভারপুলের সমর্থকদের সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করেছে প্যারিসের পুলিশছবি: রয়টার্স

আধা ঘণ্টার বেশি সময় পর শুরু হয়েছিল এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। টিকিটধারী প্রায় তিন হাজার দর্শক মাঠে ঢুকতে পারেননি। লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদের অনেক সমর্থকই হেনস্তার শিকার হয়েছেন পুলিশের কাছে। স্থানীয় অধিবাসীদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন অনেকে। স্মরণীয় এক রাতের স্মৃতি বিস্মরণযোগ্য করে তুলেছে স্তাদ দে ফ্রান্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত হর্তাকর্তারা।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন নতুন সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। হাস্যকর সব যুক্তিও শোনা যাচ্ছে। প্যারিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মাত্র’ তিন মাস সময় পাওয়ায় তাঁরা গুছিয়ে উঠতে পারেননি। এমনকি করিম বেনজেমা থাকায় দর্শকের বাড়তি চাপ ছিল, এমন হাস্যকর কথাও শোনাচ্ছেন কেউ কেউ! এর সঙ্গে মাঠের অব্যবস্থাপনার সম্পর্ক কী, সেটা অবশ্য ব্যাখ্যা করা হয়নি।

এদিকে খবর এসেছে লিভারপুল শহরের মেয়র নিজে স্তাদ দে ফ্রান্সের বাইরে চুরির শিকার হয়েছেন!

সেদিন ফাইনালের আগেই খবর এসেছিল, প্যারিসের স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন সমর্থকেরা। অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এমন ভুক্তভোগীদের মধ্যে লিভারপুলের মেয়র স্টিভ রদেরাম ছিলেন, সেটা জানা গেল কাল।

টুইটারে এসে নিজেও যে এই অব্যবস্থাপনার ভুক্তভোগী, সেটা জানিয়েছেন রদেরাম, ‘শনিবারের পর থেকে আমি চুপচাপ ছিলাম বলে দুঃখিত। কিন্তু আরও অনেকের মতো স্টেডিয়ামে ঢোকার পথে আমার ফোন ও ব্যক্তিগত আরও অনেক কিছু চুরি হয়েছে। যতক্ষণ না আমি নতুন ফোন নিচ্ছি, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হলে আমার ইনবক্সে বার্তা পাঠান। খুব দ্রুত আরও কিছু বলব।’

লিভারপুলের মেয়র স্টিভ রদেরাম
ছবি: টুইটার

একটু পর বড় এক বিবৃতিতে প্যারিস পুলিশের হাতে সমর্থকদের নিগৃহীত হওয়ায় নিজের রাগ–ক্ষোভ ঝেড়েছেন রদেরাম, ‘এই ক্লাবের পাঁড় ভক্ত ও লিভারপুল শহরের একজন প্রতিনিধি হিসেবে ফ্রেঞ্চ পুলিশের লিভারপুল সমর্থকদের সঙ্গে আচরণে আমি ক্ষুব্ধ। ম্যাচের আগে ও পরে স্তাদে দে ফ্রান্সের বাইরে যা হয়েছে, পুরো বিশৃঙ্খলা। মনে হয়েছে, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। যা হয়েছে, তা দেখা খুব কঠিন ছিল। জীবনের সেরা রাত কাটানোর আশায় গিয়েছিলেন সমর্থকেরা। মনে হয়েছে, পুলিশেরা ঝামেলা সৃষ্টি করতেই চাইছিলেন।’

ফ্রেঞ্চ কর্তৃপক্ষ প্রথমে দাবি করেছিল, কিছু সমর্থক বিনা টিকিটে স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করাতেই ঝামেলার সৃষ্টি। কিন্তু সেটা উপস্থিত সাংবাদিক ও সাধারণ দর্শকেরা উড়িয়ে দিয়েছেন।