চেলসির ম্যাচে হার্ট অ্যাটাকের শিকার সমর্থক
ওয়াটফোর্ডের মাঠ ভিকারেজ রোডে ম্যাচের তখন ১২ মিনিট। স্বাগতিক ফুলব্যাক অ্যাডাম মেসিনা চোট পাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এমন সময় গ্রাহাম টেলর স্ট্যান্ডে হইচই!
অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক দর্শক। দুই দলের ক্লাবের চিকিৎসক দল তড়িঘড়ি করে গ্যালারিতে গিয়ে জরুরি চিকিৎসা দেন সেই দর্শককে।
খেলা বন্ধ হয়ে যায়। দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে খেলোয়াড়দের মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দেন রেফারি ডেভিড কোটে। ৩০ মিনিটের বেশি সময় পর আবারও খেলা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ওয়াটফোর্ডকে ২-১ গোলে হারায় চেলসি। প্রথমার্ধে ম্যাসন মাউন্ট ও বিরতির পর হাকিম জিয়েখ চেলসির হয়ে গোল করেন। এ জয়ে ১৪ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রইল চেলসি।
ওয়াটফোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন সেই দর্শক। হাসপাতালে তাঁর জীবন বেঁচে যাওয়ার খবর জানার পর মাঠে ফেরেন খেলোয়াড়েরা। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে গোলশুন্য ব্যবধানে সমতায় ছিল দুই দল।
মেসিনা চিকিৎসা নেওয়ার সময় খেলোয়াড়েরা গ্যালারির জরুরি অবস্থা টের পান। দুই দলের মেডিকেল স্টাফদের তাঁরা-ই জানান।
বিশেষ করে চেলসি ডিফেন্ডার মার্কোস আলোনসো, গ্যালারির কোথায় চিকিৎসাসেবা দরকার তা হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন। এরপর দুই দলের চিকিৎসক দল দৌড়ে গ্রাহাম স্ট্যান্ড গ্যালারিতে প্যারামেডিকসদের সঙ্গে জরুরি চিকিৎসায় যোগ দেন।
ওয়াটফোর্ডের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়, 'খেলোয়াড়েরা মাঠে ফিরেছে। খেলা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া সমর্থকের সঙ্গেই আছি আমরা। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। চিকিৎসক দল, খেলোয়াড় ও সমর্থকদের ধন্যবাদ।'
এদিকে সেন্ট মেরি স্টেডিয়ামে সাউদাম্পটন-লেস্টার ম্যাচেও গ্যালারিতে এক দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমাজন প্রাইম জানিয়েছে, সেই দর্শকের অসুস্থতার সঠিক কারণ জানা যায়নি। খেলা ১৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়।