চেলসি বিক্রি নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা
সবকিছুই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। টড বোয়েলির নেতৃত্বে ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটাল, মার্ক ওয়াল্টার এবং হ্যানসজর্গ ওয়েসের কাছে চেলসি হস্তান্তর করার বিষয়টি হয়ে গিয়েছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। গত সপ্তাহে স্টামফোর্ড ব্রিজে গিয়ে উলভসের সঙ্গে দলকে ড্র করতে দেখেছেন নতুন মালিক বোয়েলি। এমন সময়েই কিনা নতুন মোড় নিল চেলসি বিক্রির বিষয়টি। এ যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পের সংজ্ঞার মতো—শেষ হইয়াও হইল না শেষ!
চেলসির দামদস্তুরও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ৪৯০ কোটি ইউরোতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৪ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা) বোয়েলি চেলসি কিনছেন এবং চুক্তিটুক্তি সব তৈরি হয়ে গেছে, খবর এসেছিল এ রকমই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির বিকিকিনির মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছিল ক্যাম্বার্লি ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্লাবটির মূল কোম্পানি ফোর্ডস্টাম লিমিটেডের প্রায় ২০০ কোটি ইউরো ঋণ।
চেলসি বিক্রি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার সময় শোনা গিয়েছিল আব্রামোভিচ নাকি বলেছিলেন, ফোর্ডস্টাম লিমিটেডের ঋণ পরিশোধ করার দরকার নেই। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকারের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান খবর ছেপেছে, আব্রামোভিচ ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কথা—নতুন মালিকের অধীনে চেলসি হস্তান্তর করার আগে ক্যাম্বার্লি ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্টের কাছে ফোর্ডস্টাম লিমিটেডের ঋণের পুরোটা পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার আব্রামোভিচের কাছে অর্থ যেতে পারে, এমন কোনো লেনদেন হতে দেবে না। এতে পুরো প্রক্রিয়াটাই থেমে যেতে পারে এখন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরপরই ইংল্যান্ডে নানা রকমের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন আব্রামোভিচ। বলা হয়ে থাকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ তিনি। নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পরই রুশ ধনকুবের তেল ও গ্যাস ব্যবসায়ী আব্রামোভিচ চেলসি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।