চলেই গেলেন বাদল রায়

শেষ পর্যন্ত সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলেই গেলেন বাদল রায়। দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই তারকা আজ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কিছুদিন আগে লিভার ক্যানসার ধরা পড়েছিল তাঁর। সেটি ছিল চতুর্থ পর্যায়ে। আজ তাঁর সব কষ্টের সমাপ্তি ঘটল।

না ফেরার দেশে বাদল রায়
ফাইল ছবি

গত ১৫ নভেম্বর লিভার ক্যানসার ধরা পড়ার পর থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাদল রায়। হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ক্যানসার ধরা পড়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

বাদল রায়ের দীর্ঘ দিনের সতীর্থ, সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বলেন, ‘বাদলকে স্কয়ার হাসপাতাল ছেড়ে দিয়েছিল। তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছিল। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও পরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ মেডিকেলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হন মোহামেডানের সাবেক এই অধিনায়ক। তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সেরে উঠলেও সেই অসুস্থতা ছাপ ফেলে যায় তাঁর শরীরে। গত আগস্টে আক্রান্ত হন কোভিডে। অসুস্থ অবস্থাতেও ফুটবলের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। বাফুফের বিভিন্ন ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা গেছে তাঁকে। ক্যাসিনো-কাণ্ডের পর মোহামেডানের পুনর্গঠনে রাখেন বড় ভূমিকা। সর্বশেষ বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচনও করেছেন কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে। এর আগে বাফুফের সহ সভাপতি হিসেবে তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন বাদল রায়।

১৯৮১ ও ১৯৮৬ সালে মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে টানা তিন বছর পর মোহামেডানের লিগ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বাদল রায়। খেলা ছাড়ার পর মোহামেডানের ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

সাবেক এই ফুটবলারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শোকগ্রস্ত পরিবারের প্রতি জানিয়েছেন গভীর সমবেদনা।