ঘটি-বাঙাল লড়াই থেকে জন্ম নেওয়া ক্লাবের ১০০ বছর
>১ আগস্ট ১০০ বছরে পা দিল ইস্ট বেঙ্গল। নামটাই বলে দিচ্ছে পশ্চিম বাংলার ক্লাবটি ধরে রেখেছে এই বাংলার আবেগ ও নাড়ির টান। প্রথম আলোর জন্য ওই বাংলা থেকে লিখেছেন খ্যাতিমান ক্রীড়া সাংবাদিক রূপক সাহা
ইস্ট বেঙ্গলকে কেন জানি না আমার ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো ক্লাবের মতো বলে মনে হয়। জনতার ক্লাব, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, তৈরিও তাদের হাতে। যাদের সঙ্গে তুলনাটা করছি, তারা ইতিমধ্যেই শতবর্ষ অতিক্রম করে গেছে। ট্রফি জেতার নিরিখে ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়তো সেই অতীত গরিমা আর নেই। কিন্তু তাদের জনসমর্থনে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। সেই সঙ্গে ক্লাবের প্রতি আনুগত্যেও।
সমর্থকদের আবেগের কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম। বিশ্বকাপ ফুটবল কভার করতে গিয়ে এক ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকের মুখে শুনেছিলাম, একবার রিও ডি জেনিরোর রাস্তায় তাঁর পকেট থেকে পার্স চুরি যাওয়ার পর কীভাবে সেটা তিনি ফেরত পেয়েছিলেন, ‘খুব মুষড়ে পড়েছিলাম। টাকাপয়সার জন্য নয়, পার্সের ভেতর আমার ফ্ল্যামেঙ্গোর সদস্য কার্ডটা ছিল। পরদিন একজন সেই পার্স ফেরত দিতে এলেন। তিনি নাকি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন। কৃতজ্ঞতায় তাঁকে কফি খাওয়ানোর সময় জানতে পারলাম, তিনিও আমার মতোই ফ্ল্যামেঙ্গো। পরে বুঝতে পারি, তিনিই পকেটমার। ক্লাবতুতো ভাইয়ের পার্স কোন লজ্জায় আত্মসাৎ করবেন!’