কোমানকে ঘিরে ধরলেন সমর্থকেরা, বার্সেলোনার নিন্দা প্রকাশ
ইয়োহান ক্রুইফের সরাসরি শিষ্য তিনি। ছিলেন বার্সেলোনার স্বপ্নের দলের অন্যতম সদস্য। তাঁর গোলেই বার্সেলোনা প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছে। কাতালানদের কোচ হওয়ার আগে বার্সা-সমর্থকদের নয়নের মণি হয়েই ছিলেন রোনাল্ড কোমান। কিন্তু কোচ হওয়ার পরই সব যেন কেমন বদলে গেল, চোখের মণি থেকে চক্ষুশূল হয়ে গেলেন নিমেষেই!
গত রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। এই নিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচ হারল বার্সেলোনা। তিনবারই কোমানের অধীনে।
১৯৬৫ সালের পর থেকে বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা এত ম্যাচ জেতেনি রিয়াল। চক্ষুশূল না হয়ে কোমান যান কোথায়? মাঠের ভেতরেই যেখানে এমন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা, মাঠের বাইরে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের চাকরি খোয়ানোর সব জোগাড়যন্তর যেন নিজেই করে রাখছেন নেদারল্যান্ডস, আয়াক্স, ভ্যালেন্সিয়া ও এভারটনের সাবেক এই কোচ।
সব মিলিয়ে বার্সা–সমর্থকদের মধ্যে খুব বেশি মানুষ যে তাঁকে সমর্থন করছেন, বলা যাবে না। সর্বশেষ প্রমাণ দেখা গেল রিয়ালের বিপক্ষে হারের পর।
ম্যাচ শেষে নিজের গাড়িতে করে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন কোমান। সেখানেই বুঝতে পারলেন সমর্থকদের তোপের মাত্রা কতটা। কোমানের গাড়ির চারপাশে ঘিরে ধরেছিলেন বার্সা–সমর্থকেরা।
কোচকে যেতে দিতে চান না তাঁরা, পারলে গাড়ি থেকে বের করে সেখানেই কোমানের সঙ্গে একটা হেস্তনেস্ত করে ফেলার ইচ্ছা যেন! ক্যাম্প ন্যু থেকে বেরোতেই পারছিলেন না কোমান। অনেকেই ‘বেরিয়ে যাও’, ‘বেরিয়ে যাও’ বলে চিৎকার করছিলেন কোমানের উদ্দেশ্যে। কোথা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, এটা বোঝার জন্য আপনাকে আইনস্টাইন হওয়া লাগবে না নিশ্চিত!
তবে ক্যাম্প ন্যুর নিরাপত্তারক্ষীরা তখন কী করছিলেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। বার্সেলোনা অবশ্য সমর্থকদের এমন আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এমন আচরণে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি প্রচ্ছন্নভাবে নিজেদের নিরাপত্তাব্যবস্থা যে দুর্বল, সেটাও স্বীকার করেছে, ‘ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার সময় আমাদের ম্যানেজার যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন, বার্সেলোনা তাতে নিন্দা জ্ঞাপন করছে। এর পর থেকে ক্লাব নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাব্যবস্থা উন্নত করবে, যেন এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা আর না ঘটে।’