কোন 'ভুলে'র কথা স্বীকার করলেন বেকেনবাওয়ার?
শেষ পর্যন্ত বেকেনবাওয়ারও! জার্মান ফুটবল কিংবদন্তি স্বীকার করেছেন ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার প্রক্রিয়ায় তাদের একটি ‘ভুল’ ছিল। তবে এই ‘ভুলে’র সঙ্গে ঘুষ আদান-প্রদান কিংবা ভোট কেনা-বেচার কোনো সম্পর্ক ছিল না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
কিছু দিন আগেই জার্মান পত্রিকা দার স্পিগেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অভিযোগ ওঠে, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হতে কিছু ভোট কিনতে হয়েছিল জার্মান আয়োজক কমিটিকে। জার্মানিকে অধিনায়ক হিসেবে ১৯৭৪ সালে আর কোচ হিসেবে ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপ জেতানো ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ছিলেন সেই কমিটির প্রধান।
এরই প্রেক্ষিতে এক লিখিত বিবৃতিতে বেকেনবাওয়ার জানিয়েছেন, সেই সময় একটি প্রস্তাবে তাঁর নেতৃত্বাধীন জার্মান আয়োজক কমিটি সাড়া দিয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁর কাছে মনে হয়েছে সেটা ছিল মস্ত বড় এক ভুল।
কী ছিল সেই প্রস্তাব? বেকেনবাওয়ার লিখেছেন, ‘ফিফার কাছ থেকে একটি অনুদান নেওয়ার বিনিময়ে তাদের অর্থ কমিটির একটি প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করেছিলাম। এর বেশি কিছু নয়। ‘ফিফার অর্থ কমিটির সেই প্রস্তাবটিতে কী ছিল সেটা অবশ্য পরিষ্কার করেননি ‘কাইজার’।
বেকেনবাওয়ার অবশ্য তাঁর বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে ভোট কেনা-বেচার মতো কোনো দুর্নীতির আশ্রয় তারা নেননি। তবে যে ভুলের কথা বেকেনবাওয়ার উল্লেখ করেছেন, তার সব দায়-দায়িত্ব জার্মান আয়োজক কমিটির প্রধান হিসেবে নিজ কাঁধে নিতে প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন তিনি।
দার স্পিগেলের অভিযোগ অনুযায়ী ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য ফিফার নির্বাহী কমিটির চার এশীয় সদস্যের ভোট কিনতে হয়েছিল জার্মানিকে। এশিয়ার ওই চার সদস্যের ভোটের কল্যাণেই ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলে ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার অধিকার অর্জন করে জার্মানি।
জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) বরাবরই পত্রিকাটির অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আসছে। স্পিগেলের আরও একটি অভিযোগ ছিল ২০০৫ সালের এপ্রিলে ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের কাছ থেকে ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো ধার নিয়ে ভোট কেনার কাজ সেরেছিল জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ডিএফবি অবশ্য বলেছে, এই অর্থ তারা ফিফাকে দিয়েছিল একটি ঋণের কিস্তি হিসেবে। সূত্র: এএফপি।