কী সর্বনাশা পথ দেখালেন রোসাস?
ম্যানুয়েল রোসাস এ কী শিখিয়ে দিলেন!
৯০ মিনিটের খেলা শেষ, অথচ দুই দলের কেউই কোনো গোলের দেখা পায়নি, অতিরিক্ত ৫ মিনিটের খেলাও প্রায় শেষের দিকে, এখন শুধু রেফারির বাঁশির অপেক্ষা। সে মুহূর্তে আজিজ বুহাদ্দুজের গোল! তবে বিপক্ষের জালে নয়, নিজেদের জালে গোল করেছেন তিনি। ইরান ও মরক্কো ম্যাচটির কথা হচ্ছে। পুরো ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে খেললেও শেষমেশ আজিজের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচটি হারতে হয় মরক্কোকে।
বিশ্বকাপ হোক কিংবা প্রীতি ম্যাচ, আত্মঘাতী গোল সব সময়ই ভয়ংকর। তবে বিশ্বকাপ বলেই বাড়তি আলোচনা। বিশ্বকাপে আত্মঘাতী গোলের ইতিহাস কিন্তু নতুন নয়, ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে মেক্সিকান ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল রোসাসের হাত ধরেই এর যাত্রা শুরু হয়।
মজার ব্যাপার হলো, আত্মঘাতী গোল এখন অনেকটাই বিশ্বকাপের অংশ হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ হবে আর আত্মঘাতী গোল হবে না, তা যেন রীতিমতো অসম্ভব। এ পর্যন্ত মাত্র ৫টি বিশ্বকাপে কোনো আত্মঘাতী গোল হয়নি! তবে আজ পর্যন্ত আত্মঘাতী গোল করার প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ। পুরো টুর্নামেন্টে ৫ বার আত্মঘাতী গোল হয়েছিল সেবার। তিনটি আত্মঘাতী গোল নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ১৯৭৪ বিশ্বকাপ।
রাশিয়া বিশ্বকাপেও সেই ধারা বজায় রয়েছে। বিশ্বকাপ তো সবে শুরু হলো, গ্রুপপর্বের খেলাও এখনো শেষ হয়নি, অথচ এই কয়েক দিনেই তিনটি ম্যাচে আত্মঘাতী গোল! মরক্কোর আজিজ বুহাদ্দুজ, অস্ট্রেলিয়ার আজিজ বেহিচ, নাইজেরিয়ান এতেবো—এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এঁরাই খলনায়ক হিসেবে পরিচিত। বিশ্বকাপ শেষ হতে এখনো ২৬ দিন বাকি, এভাবে চলতে থাকলে ১৯৯৮ বিশ্বকাপকে পেছনে ফেলতেও দেরি হওয়ার কথা নয়।