কারণ বুড়ো হয়ে গেছেন তিনি...
>খেলোয়াড়ি জীবনে মাঠে প্রায়ই ঝগড়ায় জড়াতেন জেনেরো গাত্তুসো। কিন্তু কাল তাঁকে দেখা গেল পুরোপুরি ভিন্ন ভূমিকায়।
তিনি এসি মিলানের কিংবদন্তি! কিন্তু জেনেরো গাত্তুসো মাথা গরম খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। মাঠে মাথা গরম করাকে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ২০০৬ সালে বিশ্বকাপজয়ী ইতালীয় এই তারকা। খেলোয়াড়ি জীবনে প্রায়ই মাঠে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝগড়া বাধাতেন। এমনকি নিজের খেলোয়াড়দেরও ছাড়েননি তিনি। সেই গাত্তুসোকেই কাল দেখা গেল মাঠের ঝগড়া থামাতে। মিলান-লাৎসিও ম্যাচে তিনি মাঠের মারামারির মধ্যেই নিলেন শান্তির ভূমিকা। অবাক হয়ে সবাই তাঁর ভিন্ন ভূমিকার কথা জিজ্ঞেস করাতেই বললেন, ‘সেই দিন আর নেই, বয়স হয়ে গেছে!’
এসি মিলানের জন্য শেষ চারে টিকে থাকার পরীক্ষা ছিল গতকাল। নিজেদের মাঠে জিততে না পারলে শীর্ষ চার থেকে ছিটকে যেত তারা। যে কারণে জয়ের জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলেন গাত্তুসোর শিষ্যরা। ৭৯ মিনিটে ফ্রাঙ্ক কেসিয়ের পেনাল্টি গোলে সে দুশ্চিন্তা দূর হয়। এক গোলে জিতে নিজেদের মাঠে ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ম্যাচ শেষে। লাৎসিও ডিফেন্ডার লুইজ ফিলিপে ও এসি মিলানের ফ্যাবিও বোরিনি নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেই ঝগড়া সংক্রমিত হয়ে পড়ে দুই দলের বাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে। কিন্তু সে ঝগড়া বেশি দূর গড়াতে দেননি মিলান কোচ গাত্তুসো।
ব্যাপারটা সবাইকে অবাকই করেছে। এ যেন পুরোপুরি গাত্তুসোর স্বাভাবের বিপরীত। খেলোয়াড়ি জীবনে বদরাগী স্বভাবের গাত্তুসো কোচ হিসেবে এভাবে আপাদমস্তক বদলে গেলেন কীভাবে? প্রশ্নের উত্তর স্বাভাবিকভাবেই দিলেন গাত্তুসো, ‘কারণ বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি। যখন ফুটবলার ছিলাম, তখন এই বিষয়গুলো আমাকে বেশ উত্তেজিত করত। এই সময়ের মাস্টার ছিলাম আমি। কিন্তু এখন আমি কোচ, আমার পুরোপুরি একটি আলাদা কাজ আছে। তার ওপর এরা সবাই জিম করে, আগের মতো শক্তি এখন আর নেই।’