কাটল শেরিফ-ভয়, ইন্টারকে নিয়েই পরের রাউন্ডে রিয়াল
অথচ প্রথম দুই ম্যাচে কী দাপটই না দেখিয়েছিল দলটা!
প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দিল শাখতারকে। দ্বিতীয় ম্যাচে শিকারের নামটা আরও বড়, খোদ রিয়াল মাদ্রিদ। তখন মনে হচ্ছিল, শেরিফ তো পরের রাউন্ডে যাবেই, ইন্টার বা রিয়ালের মতো দুই বড় দলের মধ্যে এক দলকেই হয়তো বিদায় বলতে হবে প্রথম রাউন্ডে। সেটা হয়নি। শেরিফের বিপক্ষে নিজেদের দুই ম্যাচ জিতেই সবকিছু স্বাভাবিক করেছে ইন্টার। আজ শেরিফের মাঠে গিয়ে রিয়াল দেখিয়েছে নিজেদের প্রতাপ। বুঝিয়েছে তাঁরা কেন রিয়াল মাদ্রিদ।
তিন অভিজ্ঞ তারকা ডেভিড আলাবা, টনি ক্রুস ও করিম বেনজেমার তিন গোলে শেরিফকে তিন গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। কয়েক ঘন্টা আগেই বসনিয়ান স্ট্রাইকার এদিন জেকোর জোড়া গোলে শাখতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ইন্টার মিলান। এই দুই ফলাফলেই নিশ্চিত হয়েছে শেরিফের বিদায়। নিশ্চিত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পরের রাউন্ডে যাচ্ছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানই। টানা দশ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে উঠেছে ইন্টার মিলান। ওদিকে গ্রুপের তৃতীয় দল হয়ে শেরিফ পাড়ি জমাচ্ছে ইউরোপা লিগে।
রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি কোনো ধরণের কমতি রাখতে চাননি এই ম্যাচে, সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী দলটাই নামিয়েছিলেন শেরিফের বিপক্ষে। ম্যাচের ৩০ মিনিটেই আলাবার দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায় রিয়াল। ২০০৪ সালের পর রিয়ালের কোনো ডিফেন্ডার এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি গোল করলেন, এর আগে যে কীর্তিটা ছিল ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাক রবার্তো কার্লোসের।
গোটা ম্যাচে রিয়ালের নিয়ন্ত্রণটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে টনি ক্রুসের দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগোর সহায়তায় নিজের প্রথম ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। নিজের শেষ তিন ম্যাচে এই নিয়ে দুটি গোল করলেন ক্রুস, দুটি গোলে সহায়তাও আছে তাঁর।
৫৫ মিনিটে ফরাসি লেফটব্যাক ফারলাঁ মেন্দির সহায়তায় গোল করে ম্যাচটা একদম একপেশে বানিয়ে দেন করিম বেনজেমা। নির্ভার ছিলেন বলেই কি না, ম্যাচের শেষদিকে এসে তরুণ মিডফিল্ডার আন্তোনিও ব্লাঙ্কোর অভিষেক ঘটিয়ে দেন আনচেলত্তি।
পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত গ্রুপের শীর্ষে আছে রিয়াল। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আজই শাখতারকে ২-০ গোলে হারানো ইন্টার মিলান।