কঙ্গো অনূর্ধ্ব-১৬ দল চমক দেখাল যেভাবে
এলিয়া বালামওয়াবো এই মুহূর্তে আফ্রিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় এক নাম। গতকাল রাতেই শেষ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ আফ্রিকা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট। ফাইনালে সেনেগালের ছেলেদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক কঙ্গো। রাজধানী কিনশাসার মার্টায়ার্স স্টেডিয়ামে এ ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছে দলের অধিনায়ক বালামওয়াবো।
ফিফা ও কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবলের (সিএএফ) আশীর্বাদপুষ্ট এক টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় হয়েছে এক কিশোর। তাকে অভিনন্দন জানানোটাই স্বাভাবিক। তবে সবার অভিনন্দন বার্তাতেই ‘কিন্তু’র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বালামওয়াবো ও তার সঙ্গীদের বয়স নিয়ে যে সন্দিহান সবাই।
ফুটবল–শক্তিতে সেনেগাল ও কঙ্গোর মধ্যে পার্থক্যটা অনেকের নাও জানা থাকতে পারে। ২০০২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা সেনেগাল রাশিয়া বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছে। কদিন আগেই জিতেছে আফ্রিকান নেশনস কাপ (আফকন)।
ওদিকে ১৯৭৪ সালের পর বিশ্বকাপে যেতে পারেনি কঙ্গো। এবারের আফকনে বাছাইপর্ব উতরাতে পারেনি দলটি। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৪৮ ধাপ এগিয়ে সেনেগাল। ২০২২ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ অবশ্য দুই দলেরই সমান। প্লে–অফে মিসরের মুখোমুখি সেনেগাল। ওদিকে মরক্কোর মুখোমুখি কঙ্গো। জয় পেলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত দুই দলের।
বর্তমানে একটু হলেও এগিয়ে আছে সেনেগাল। এ অবস্থায় সেনেগালকে কোনো বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় হারানোর ইচ্ছা হতেই পারে দলটির। ৩-১ ব্যবধানে জয় তো দাপটের কথাই বলে। কিন্তু আফ্রিকা ফুটবলের অভিজ্ঞ ও পরিচিত সাংবাদিকেরা সেনেগালকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। ফুটবল উন্নয়নের সঠিক পথ বেছে নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদও দেওয়া হচ্ছে।
আর কঙ্গোর ক্ষেত্রে? অভিনন্দন বার্তার আড়ালে যে হুল ফোটানো হচ্ছে, তা সহ্য করা কঠিন।