এমবাপ্পের চেয়েও ভালো আনসু ফাতি

মেসির উত্তরসূরি হওয়ার সব সম্ভাবনাই দেখিয়েছেন ফাতিফাইল ছবি রয়টার্স

স্প্যানিশ লিগ ছেড়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো চলে গেছেন বহু আগেই। কয়েক মাস আগে রোনালদোর পথ ধরে স্প্যানিশ লিগ ছেড়েছেন লিওনেল মেসিও। এ দুজনের আগেই স্পেন ছেড়েছেন নেইমার। মেসি-রোনালদোহীন লিগে বড় আকর্ষণ বলতে ঘুরেফিরে এখন আঁতোয়ান গ্রিজমান, লুইস সুয়ারেজ, করিম বেনজেমাদের নামই আসবে।


কিন্তু এটা না বললেও চলছে, মেসি-রোনালদোর আলোকচ্ছটার কাছে গ্রিজমান-বেনজেমা-সুয়ারেজরা বড্ড ম্লান। লিগের অবিসংবাদিত তারকা হিসেবে মেসি-রোনালদোর তারকাদ্যুতির সঙ্গে এই তিনজনের তুলনা চলে না। এ ছাড়া তাঁদের প্রত্যেকেই ক্যারিয়ারের শেষদিকে চলে এসেছেন, খুব বেশি দিন হয়তো আর খেলতে দেখা যাবেও না তাঁদের। ব্যাপারটা কি হাভিয়ের তেবাস বুঝতে পেরেছেন?

এমবাপ্পেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মানা হয়
ছবি: রয়টার্স

হয়তো পেরেছেন। পেরেছেন দেখেই স্প্যানিশ লিগের তরুণ খেলোয়াড়দের প্রথম থেকেই পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসতে চাইছেন লা লিগার সভাপতি। আর লা লিগার প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড়দের নাম করলে হয়তো সবার প্রথমেই আসবে আনসু ফাতির নাম।

সেই ফাতির প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ হয়েছেন তেবাস। এতটাই যে কিলিয়ান এমবাপ্পের চেয়েও প্রতিভাবান হিসেবে ফাতির নাম বলে দিয়েছেন তিনি!

লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস
ফাইল ছবি: এএফপি

১৬ বছর বয়সে লা লিগায় অভিষিক্ত হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আনসু ফাতি। ১৭ বছরে পা রাখার আগেই বার্সেলোনার হয়ে করেছিলেন জোড়া গোল। ১৮ বছর বয়সে পা রাখার আগেই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন। ইউরোপিয়ান নেশনস কাপে ইউক্রেনের বিপক্ষে মাত্র ১৭ বছর ৩১১ দিন বয়সে গোল করে স্পেন জাতীয় দলের ইতিহাসে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ তারকা হিসেবে গোল করার রেকর্ড গড়েছিলেন ফাতি। নিজেদের হাতে থাকা এ রত্নের দামও ভালোভাবে দিয়েছে বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির ফেলে যাওয়া পরম আরাধ্য ১০ নম্বর জার্সির উত্তরাধিকার হিসেবে ফাতিকেই বেছে নিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।


ওদিকে এমবাপ্পেও কম যান না। বয়স এখনো ২৩ ছোঁয়নি, এর মধ্যেই দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতে ফেলেছেন, জিতেছেন নেশনস লিগ। বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন। পিএসজির হয়ে এক চ্যাম্পিয়নস লিগ ছাড়া মোটামুটি সবকিছুই জেতা হয়ে গিয়েছে এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের। গতকাল রাতেই ফ্রান্সের হয়ে ৪ গোল করে ৬৩ বছর পুরোনো এক রেকর্ড ছুঁয়েছেন।

এ বয়সে এত কিছু জিতেও তেবাসের মন ভরাতে পারেননি এমবাপ্পে। তেবাসের কাছে বরং তাঁর নিজের লিগের ফাতিকেই বড় বলে মনে হচ্ছে।

এল পার্তিদাজো দে কোপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেবাস বলেন, ‘আমরা সব সময় স্পেনের বাইরে খেলা খেলোয়াড়দের বেশি দাম দিই। আমাদের আনসু ফাতি আছে। ফাতির কপাল খারাপ যে বিভিন্ন চোটে ওকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। কিন্তু ও যখনই সুযোগ পেয়েছে, ও বুঝিয়েছে, ও এমবাপ্পের সমান বা কিছু ক্ষেত্রে এমবাপ্পের চেয়েও ভালো খেলোয়াড়।’